ঢাকা: আসন্ন গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে কেন্দ্রভেদে ১৬ থেকে ১৮ জনের ফোর্স মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স।
সোমবার (২ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন ইসির যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, ভোটকেন্দ্র পাহারায় পুলিশ, অঙ্গীভূত আনসার ও গ্রাম পুলিশ ভোটের আগে ও পরের চারদিন মোতায়েন থাকবে।
এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের ছয়টি ভ্রাম্যমাণ ও চারটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের মাঠে থাকবে। অন্যদিকে চার প্লাটুন বিজিবি ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) নয়টি দল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে।
এদিকে নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি দু’টি উপজেলা নিয়ে এ সংসদীয় আসন গঠিত। এতে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ফুলছড়ির সাতটি ইউনিয়নে ভোটার এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ জন। আর সাঘাটার ১০টি ইউনিয়নে ভোটার দুই লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন।
গত ১২ অক্টোবর এ আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয় ইসি। পরে ৪ জানুয়ারি ভোটের নতুন তারিখ দেয় সংস্থাটি।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৩
ইইউডি/আরআইএস