ঢাকা: বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থীদের ঋণ খেলাপির তথ্য দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান নির্দেশনাটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে- আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। ওইসব আসনের উপ-নির্বাচনে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, সেজন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক থেকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।
মনোনয়নপত্র দাখিলের পর দাখিলকারীদের নাম, পিতা বা মাতা বা স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব-উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করার জন্য এবং সেই আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।
নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার পূর্বে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ জানুয়ারি। এতে ৫৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের তথ্য সংগ্রহ করেই ঋণ খেলাপির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে মন্ত্রণালয়কে। সেই তথ্যের আলোকেই রিটার্নিং কর্মকর্তারা মনোনয়নপত্র বাছাই করবেন ৮ জানুয়ারি।
বাছাইয়ে যারা বৈধ প্রার্থী হবেন, তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য সময় পাবেন ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর প্রতীক নিয়ে প্রচার শেষে ভোটযুদ্ধে লিপ্ত হবেন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। সবগুলো আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বিএনপির সাত এমপি পদত্যাগপত্র ই-মেইলে স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানানো হয়। এরপর প্রথমে ছয়জন ও পরে একজন স্পিকারের কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন।
স্পিকার তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এর ভিত্তিতে ইসি ছয় আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল দেয়। একটি সংরক্ষিত আসন বিধায় সেটির নির্বাচন নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেবে ইসি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ