ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

চট্টগ্রাম-৮ উপ-নির্বাচন: অনিয়ম হলে দলের জরিমানা ১লাখ

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
চট্টগ্রাম-৮ উপ-নির্বাচন: অনিয়ম হলে দলের জরিমানা ১লাখ

ঢাকা: চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপ-নির্বাচনে অনিয়ম হলে দলের জন্য ১লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। আর প্রার্থীর জন্য একই অপরাধে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হবে ২০ হাজার টাকা।

দল ও প্রার্থীর এই জরিমানা করা হবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি বা নির্বাচনী তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে। ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান এবং সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ কফিল উদ্দিনের সমন্বয়ে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি  গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি কারো অভিযোগের ভিত্তিতে বা নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন অনিয়ম তদন্ত করবে। তাদের সঙ্গে থাকবে দুইজন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য।

কমিটির কার্যপরিধি সংক্রান্ত এক আদেশে বলা হয়েছে-নির্বাচন পূর্ব সময়ে (তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ পর্যন্ত সময়) আচরণ বিধি লঙ্ঘন, কোনো প্রার্থীর নামে অপপ্রচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে উল্লেখিত যে কোনো অপরাধ সংঘঠিত হলে কমিটি সে বিষয়ে তদন্ত করবে। সেই তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশনকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করবে । এক্ষেত্রে তদন্ত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ই-মেইলে সুপারিশ করার জন্য কমিটিকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

নির্বাচন কমিশন সেই সুপারিশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রার্থী ওই ধরনের অপরাধ তাৎক্ষণিক বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেবে। আর সেটা পালন না হলেই জরিমানা দিতে হবে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দলকে জরিমানা গুণতে হবে ১লাখ টাকা। আর কমিশন চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারবে।

গণপ্রতিধিত্ব আদেশ ৯১ (এ) দফার ৮ ও ৯ ধারা অনুযায়ী কমিটির সামনে যে কোনো কার্যক্রম দণ্ডবিধির ১৯৩ ও ২২৮ ধারার বিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগীয় কার্যক্রম হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া দেওয়ানি কার্যবিধির অধীন মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতের যে কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও শপথপূর্বক তাকে পরীক্ষণ এবং দলিল দস্তাবেজ উপস্থাপনের ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া সংক্রান্ত যেসব ক্ষমতা রয়েছে সেগুলো কমিটির থাকবে।

আসন্ন এ উপ-নির্বাচনে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন ও নারী ভোটার দুই লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন। ভোটের লড়াইয়ে আছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মো. ফরিদউদ্দিন ও বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের শিহাব উদ্দিন মো. আব্দুস সালাম।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। পরবর্তীতে আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট ইসিতে এলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে কমিশন।

আসনটি এর আগেও একবার শূন্য হয়েছিল ২০১৯ সালে। মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এ কারণে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে এসেছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৩
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।