ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ৩৮টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করেছেন স্থানীয়রা।
ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, মোট ১৮৬টি আবেদন জমা পড়েছে। আমরা যে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছি সেটার বিপক্ষেই বেশির ভাগ আবেদন পড়েছে। আর পক্ষেও পড়েছে কিছু আবেদন। এজন্য আগামী ৩ মে থেকে ১৪ মের মধ্যে চারদিনে আবেদনগুলোর শুনানি করে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টের সভাকক্ষে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৩৮টি আসনের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে বিপক্ষে ২টি; সিরাজগঞ্জ-১, ২, ৫ ও ৬ আসনে মোট আবেদন পড়েছে ৪০টি, এর মধ্যে বিপক্ষে ৪টি ও পক্ষে ৩৫টি আবেদন রয়েছে।
পাবনা-১ ও ২ আসনের বিপক্ষে ২টি, যশোর-২ আসনে পক্ষে ১টি, যশোর-৬ আসনে বিপক্ষে ১টি আবেদন পড়েছে। সাতক্ষীরা-১ আসনে আবেদন পড়েছে ৩টি, এরমধ্যে বিপক্ষে ২টি এবং পক্ষে ১টি আবেদন রয়েছে।
বরগুনা-১ ও ২ আসনে বিপক্ষে ৩টি; পিরোজপুর-১, ২ ও ৩ আসনে মোট ২৬টি আবেদন পড়েছে, এর মধ্যে বিপক্ষে ২১টি এবং পক্ষে ৫টি আবেদন রয়েছে।
কিশোরগঞ্জে নতুন আসন বাড়ানোর বিপক্ষে ১টি; ফরিদপুর- ১, ২, ৩ ও ৪ আসনে বিপক্ষে ৫টি; ঢাকা- ৪ আসনে বিপক্ষে ১টি; ঢাকা- ১৯ আসনে বিপক্ষে ১৩টি আবেদন এসেছে।
গাজীপুর-২ আসনে পক্ষে ১টি; গাজীপুর-৫ আসনে পক্ষে ১টি; নারায়ণগঞ্জ- ৪ ও ৫ আসনে বিপক্ষে ২টি; পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সংসদীয় আসন বাড়াতে ১টি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে ৬টি আবেদন পড়েছে, এর মধ্যে বিপক্ষে ২টি এবং পক্ষে ৪টি আবেদন রয়েছে।
কুমিল্লা- ১ ও ২ আসনে আবেদন পড়েছে ৬১টি, এর মধ্যে বিপক্ষে ৪৯টি এবং পক্ষে ১২টি আবেদন এসেছে। কুমিল্লা- ৮ ও ৯ আসনে বিপক্ষে ৩টি; নোয়াখালী- ১ ও ২ আসনে বিপক্ষে ৪টি; এবং চাঁদপুর- ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ আসনে বিপক্ষে ১টি আবেদন জমা পড়েছে।
ইসি সচিব বলেন, কুমিল্লা অঞ্চলের আবেদনগুলোর শুনানি হবে ৩ মে। ৭ মে রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জের আপত্তিগুলোর শুনানি হবে।
এছাড়া ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও ঢাকা অঞ্চলের সীমানা নিয়ে যে আবেদনগুলে পড়েছে সেগুলোর শুনানি হবে ১১মে।
আর বরিশাল, খুলনা এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবেদনগুলোর শুনানি হবে ১৪ মে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে দাবি-আপত্তি জানাতে ১৯ মার্চ পর্যন্ত সময় দেয় ইসি।
নির্বাচন কমিশনার ও সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি প্রধান মো. আলমগীর এ বিষয়ে বলেন, আমরা প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। জনসংখ্যার প্রাধান্য সবচেয়ে কম দিচ্ছি। কেননা, জনসংখ্যাকে প্রাধান্য দিলে ঢাকার মতো শহরে আসন সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৩
ইইউডি/আরএ