ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গাজীপুর সিটি ভোট: ঋণ খেলাপিদের তথ্য চায় ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
গাজীপুর সিটি ভোট: ঋণ খেলাপিদের তথ্য চায় ইসি

ঢাকা: আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সুবিধার্থে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ঋণ খেলাপির তথ্য চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছে সংস্থাটি।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত চিঠি ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। নির্বাচনে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, সেজন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক থেকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।

এজন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকেল ৪টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/ স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বউদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে সংগ্রহ করতে এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহের জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।

এই অবস্থায়, নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার আগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল, মনোনয়ন বাছাই ৩০ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ২ থেকে ৪ মে, আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে।

এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ ভোট হয়েছিল ২০১৮ সালের ২৭ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের ১১ মার্চ। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। কেননা, আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ করতে হবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
ইইউডি/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।