ঢাকা: আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী ও সমর্থকরা যেন নির্ধারিত সময়ের আগে প্রচার না চালাতে পারেন সে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, সব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বিষয়টি প্রার্থীদের অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন পূর্ব সময় অর্থাৎ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত প্রত্যেক প্রার্থীকে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধানসমূহ পরিচালনা করতে হবে। সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ৫ অনুসারে প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কোনো নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবে না। বিষয়টি সম্পর্কে সব প্রার্থীকে সচেতন করতে হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি ভোটের মনোনয়নপত্র বাছাই গত রোববার শেষ, রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ সময় আগামী ৪ মে, আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মে। প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। অর্থাৎ এ সিটিতে প্রচার চালানো যাবে ৯ মে থেকে।
খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের শেষ সময় ২১ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে ও ভোট ১২ জুন। এ দুই সিটি নির্বাচনে ২৬ মে থেকে প্রচার চালানো যাবে।
আর রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২৮ মে। আর আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পিত্তর শেষ সময় ৩১ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন, প্রতীক বরাদ্দ ২ জুন ও ভোট ২১ জুন। এ দুই সিটি ভোটে প্রচার চালানো যাবে ২ জুন থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৩
ইইউডি/আরবি