ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

খুলনায় মেয়র প্রার্থীর ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা, বরিশালে পৌনে ১৬ লাখ

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
খুলনায় মেয়র প্রার্থীর ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা, বরিশালে পৌনে ১৬ লাখ

ঢাকা: আসন্ন খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। খুলনায় মেয়র প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ২১ লাখ টাকা এবং বরিশালে মেয়র প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ১৫ দশমিক ৭৫ লাখ টাকা।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুন। তাই বিষয়টি প্রার্থীদের অবহিত করতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা: নির্দেশনায় বলা হয়েছে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ব্যক্তিগত খরচ বাবদ অনধিক পাঁচ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা, পাঁচ লাখ এক থেকে ১০ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা, ১০ লাখ এক থেকে ২০ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ২০ লাখ এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

এছাড়া নির্বাচনী ব্যয় বাবদ অনধিক ৫ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা, ৫ লাখ এক থেকে ১০ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা, ১০ লাখ এক হতে ২০ লাখ ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং ২০ লাখ এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

খুলনা সিটির মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। তাই প্রতিজন মেয়র পদপ্রার্থীর মোট ব্যয়সীমা দাঁড়ায় ২১ লাখ টাকা।

আর বরিশাল সিটির মোট ভোটার হচ্ছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। সে কারণে এই সিটি নির্বাচনে একজন মেয়র প্রার্থী সর্বমোট ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর ব্যয়: কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ বাবদ- অনধিক ১৫ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা, ১৫০০১ তেকে ত্রিশ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা, ৩০০০১ এক থেকে ৫০ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার এবং ৫০০০১ ও তার বেশি ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

এছাড়া নির্বাচনী ব্যয় বাবদ- অনধিক ১৫ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা, পনের হাজার এক হতে ত্রিশ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা, ত্রিশ হাজার এক হতে ৫০ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা এবং ৫০ হাজার এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

এই নির্দেশনা অনুযায়ী কাউন্সিলর প্রার্থীর ওয়ার্ড ভেদে সর্বনিম্ন ব্যয়সীমা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা সাড়ে ৬ লাখ টাকা। তবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যার ওপর।

আইন অনুযায়ী, ভোটের প্রচারপত্র বা প্রকাশনার মাধ্যমে অথবা অন্য কোনোভাবে ভোটারদের কাছে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিমত, লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য উপস্থাপনের জন্য ব্যয়িত অর্থসহ তার নির্বাচন পরিচালনার জন্য দান, ঋণ, অগ্রিম জমা বা অন্য কোনোভাবে পরিশোধিত অর্থ ‘নির্বাচনী ব্যয়’ বলে গণ্য হবে।

আত্মীয়-স্বজনের (স্বামী বা স্ত্রী, মা, বাবা, ছেলে, মেয়ে, ভাই, বোন) কাছ থেকে ধার, কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার স্বেচ্ছা প্রদত্ত দান নেওয়াও ব্যয়ের উৎস হিসেবে দেখাতে পারবেন প্রার্থীরা। এক্ষেত্রে কোনো উৎস থেকে কোনো অর্থ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে।

কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার নির্বাচনী এজেন্ট ছাড়া অন্য কারো মাধ্যমে নির্বাচন বাবদ কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে পুরো ব্যয় পরিচালনা করতে হবে তফসিলি ব্যাংকের নির্দিষ্ট একটি অ্যাকাউন্ট থেকে।

নির্বাচনে পর ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাপার শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা  করছেন।

আর কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী।

অপরদিকে বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, জাতীয় পার্টির (জাপা) লাঙ্গল প্রতীকে ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকে মিজানুর রহমান বাচ্চু, টেবিল ঘড়ি প্রতীকে (স্বতন্ত্র) কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকে  (স্বতন্ত্র) স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকে (স্বতন্ত) মো. আলী হোসেন হাওলাদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া কাউন্সিলর পদে ভোটের মাঠে রয়েছেন ১৬০ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ১১৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ৪২ জন।

ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করার পর সব প্রার্থীকেই ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে হবে।

দুই সিটিতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ করা হবে। এছাড়া নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হবে সিসি ক্যামেরায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।