ঢাকা: ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ. আরাফাত বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, প্রতিপক্ষ দৃশ্যত থাকুক বা পেছনে থাকুক, আমরা নৌকাকে হারতে দেব না। তাদের পরাজিত করব।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইনের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিপক্ষহীন নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে কেমন লাগছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষহীন আসলে না। আমাদের প্রতিপক্ষ যারা, তারা কিন্তু আসলে আছে। তারা হয়তো কৌশলগত কারণে নেই। বিভিন্ন জায়গায় তারা ছিল, তারা আছে। দৃশ্যত তারা থাকুক বা পেছনে থাকুক, আমরা তাদের পরাজিত করব, যেভাবে থাকুক।
ঘোমটা পড়ে বিএনপি ঢাকা-১৭ আসনেও আছে বলে মনে করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা সব জায়গায় আছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী কি তাহলে হিরো আলম, জানতে চাইলে আরাফাত বলেন, আমি তা মনে করি না। নির্বাচনে আসলে সবারই অংশগ্রহণ করার অধিকার আছে সাংবিধানিকভাবে। আমাদের প্রতিপক্ষ কারো না কারো ঘাড়ে ভর করে। সব জায়গাতেই তাদের অবস্থান। প্রতিপক্ষ তো বিভিন্নভাবে নিয়োজিত আছে। আমাদের পরাজিত করা, ছোট করা, হিউমিলিয়েট করা, আমরা তা হতে দেব না।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, আমাদের দল মনে করে, আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ যারা, তারা নির্বাচনে আসুক, থাকুক, এটা আমরা চাই। আমরা নির্বাচনকেন্দ্রিক দল। গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থান যারা নিচ্ছে, তারা নির্বাচনে থাকছে না। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী কিন্তু স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু তাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। তারা নেতাকর্মীদেরই নির্বাচন থেকে নিবৃত রাখতে পারছে না। নির্বাচন থেকে দূরে থাকার যে অবস্থান তারা নিয়েছে, তা হবে না। দিনশেষে নির্বাচন জয়ী হবে, গণতন্ত্র জয়ী হবে। নির্বাচনমুখী যারা, তারাই থাকবে।
নৌকার এই প্রার্থী বলেন, নির্বাচন ইজ নট অ্যা ম্যাটার অব জোক। ইটস অ্যা সিরিয়াস ম্যাটার। সেভাবে আমরা নিতে চাই নির্বাচনটাকে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে টিকিট কনফার্ম কি না, এই প্রশ্নের জবাবে আরাফাত বলেন, তা বলা যায় না। কেননা, মনোনয়ন বোর্ড আছে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, তারা সবাই যোগ্য ছিলেন। আমাদের নৌকাকে আমরা হারতে দেব না। আমাদের নেত্রীকে আমরা হারতে দেব না। আমি মাঠে ঘাটে কাজ করেছি। তবে পর্দার পেছনে ছিলাম।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হিরো আলম ছাড়া আরও অনেকেই প্রার্থী আছে। তবে কার ঘাড়ে তারা চাপবে এটা আমরা বলতে পারছি না। তবে তারা সক্রিয়ভাবে আছে। তারা অদৃশ্যভাবে থাকবে। নৌকার বিপক্ষে তারা সবসময় সক্রিয়। কোথাও ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তফসিল অনুযায়ী, উপ-নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জুলাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ