ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বদলি নয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বদলি নয়

ঢাকা: আইন অনুযায়ী নির্বাচনী সময়সূচি প্রকাশ থেকে ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না।

এ বিষয়ে সব মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

চিঠিতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত আসনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১’র বিধান অনুসরণ ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

সোমবারের চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ১৭ জুলাই বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ১৯০ ও ঢাকা-১৭ শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।

নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্য থেকে কারও কারও নির্বাচনে অন্যান্য দায়িত্ব পালনের প্রয়োজন হতে পারে।

সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদান করা হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।

বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের কাজে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুসারে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি তার এ নিয়োগের পর নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহত না পাওয়া পর্যন্ত তার চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীন প্রেষণে চাকুরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন। এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৪৪ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে নির্বাচনী সময়সূচি জারি হওয়ার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতীত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি করা যায় না।

নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুসারে কোনো ব্যক্তি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি তার নিয়োগের পর নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন।

নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা দেওয়ার সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৫ অনুসারে সরকারের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সবার কর্তব্য। এ অবস্থায় তিন দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের কাজে অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধি অনুযায়ী পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সরকারের সকল মন্ত্রণালয়,বিভাগকে তাদের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করতে অনুরোধ করা হলো। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের প্রতিও একই নির্দেশনা জারি করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হলো।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা যাবে না। সকল মন্ত্রণালয়,বিভাগ এবং আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাকে নির্বাচনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারিকে ছুটি প্রদান এবং অন্যত্র বদলি করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এসব নির্দেশনা জারিসহ আনুষঙ্গিক কার্যাদি সম্পন্ন করে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা দেয়ার জন্য সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীকে সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান সম্পর্কে সচেতন থেকে নির্বাচনী দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য অনুরোধ করা হলো।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
এমআইএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।