রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন চলাকালে মহানগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ও চলতি নির্বাচনের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের ওপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা হামলা চালিয়েছেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২১ জুন) দুপুর ১টার দিকে মহানগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের বাইরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও এবারের নির্বাচনের টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকের প্রার্থী রুহুল আমিন টুনুর লোকজনের ওপর র্যাকেট প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বাবুর সমর্থকদের মধ্যে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। টুনু এক সময় ওয়ার্ড বিএনপির সম্পাদক থাকলেও এখন আওয়ামী লীগের সমর্থক। তবে তার বর্তমানে কোনো পদ নেই। এছাড়া আশরাফুল ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে ভোটকেন্দ্রের সামনে থাকা টুনুর নির্বাচনী ক্যাম্পে গিয়ে আশরাফুলের লোকজন হামলা ও ভাঙচুর করে। এরপর দুই পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় নির্বাচনী ক্যাম্পের চেয়ার ভেঙে ফেলা হয়। সংঘর্ষের কারণে কিছু সময়ের জন্য ভোটকেন্দ্র ফাঁকা হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে ভোটাররা কেন্দ্রে ফিরে আসেন।
জানতে চাইলে টুনু বলেন, ‘টিফিন ক্যারিয়ারের পক্ষে জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতি দেখে প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল তা সহ্য করতে পারছেন না। তাই বিনা উসকানিতে তার লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। এতে তার স্ত্রীও আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তবে এ ঘটনা অস্বীকার করে আশরাফুল বলেন, পুরো ঘটনাই মিথ্যা। মানুষে সহমর্মিতা নিতে টুনু এমন অভিযোগ করছেন। মূলত তার লোকজনই হামলা করেছে। এ ঘটনায় তার নির্বাচনী ক্যাম্পও ভাঙচুর করা হয়েছে। তার ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। এ ঘটনায় তার পাঁচজন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে ওই ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বিবেকানন্দ বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, তারা কিছু বুঝতে পারেননি। কারণ এ ঘটনা ভোটকেন্দ্রের বাইরে ঘটেছে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় মারামারি হওয়ায় ভোটগ্রহণে কোনো সমস্যা হয়নি।
জানতে চাইলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) রফিকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার শোনার পরপরই সেখানে স্ট্রাইকিং ফোর্স পৌঁছে যায়। যে কারণে বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ভোটগ্রহণও চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
এসএস/আরআইএস