ঢাকা: সব শর্ত পূরণ করার পরও নিবন্ধন না দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ করার অভিযোগ তুলল বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। দলটির মনে করছে, অতি উৎসাহী কর্মকর্তাদের মনোভাবের কারণে দলটির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন উত্থাপন হয়েছে ইসির কাছে।
মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে আবেদন জমা দেওয়ার পর এমন মন্তব্য করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এবি পার্টির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার বাস্তব অস্তিত্ব নেই। আমাদের সকল পর্যায়ে কমিটি আছে। সব শর্ত পূরণ করেছি। তবে এসব যাচাই করতে গিয়ে ইসি কর্মকর্তারা আমাদের অফিস ভাড়ার কাগজের পরিবর্তে বাড়ির মালিকানার কাগজ দেখেছে। কাজেই অতিউৎসাহী কর্মকর্তাদের কারণে এমন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ভিত্তিহীন দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। অথচ এবি পার্টি সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে। তাদেরকে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে।
পুনর্বিবেচনার আবেদন আমলে না নিলে কোনো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্তের জন্য আমরা অপেক্ষা করবো। তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে আমরা আদালতে যাবো কি-না।
তাজুল ইসলামের সঙ্গে দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুঁইয়া, বিএম নাজমুল হক, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা ও সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল ও যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা এফ এম সোলায়মান চৌধুরী এবি পার্টির আহ্বায়ক। এছাড়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু দলটির সদস্যসচিব।
বাছাইয়ের একেবারে শেষ দিকে এসে দলটি ইসির তালিকা থেকে বাদ পড়ে। যাচাই-বাছাই শেষে সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি নামে দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়ার তালিকায় রেখেছে ইসি। তবে এই দুটি দলের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলোর শুনানি করে বর্তমানে তা পর্যালোচনাধীন রেখেছে সংস্থাটি।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, শুনানির বিষয়াদি পর্যালোচনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪২টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২৩
ইইউডি/এসআইএস