ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

পুলিশ আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে, থাকবে: ইসি রাশেদা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
পুলিশ আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে, থাকবে: ইসি রাশেদা

ঢাকা: পুলিশ বাহিনী নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণেই আছে এবং থাকবে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা।

সোমবার (২০ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশ কাদের, আপনাদের নাকি সরকারের—এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা আমাদের কাছে ন্যস্ত হয়েছেন, আমি মনে করি তারা আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছেন এবং থাকবেন। না থাকলে ব্যবস্থা হয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ। বার্তা ওইটাই—যিনি আইনের ব্যত্যয় করবেন, যিনি নিরপেক্ষতা হারাবেন, যিনি ঠিক মতো কাজ করবেন না, তার জন্য আইনে যে সমস্ত ব্যবস্থা আছে, তা প্রয়োগ করব। ’

অ্যাকশনটা কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারকে কিন্তু আমরা বরখাস্ত করেছি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরের উপনির্বাচনে অনিয়মের কারণে। আইনের মধ্যে আমাদের যতটা ক্ষমতা আছে, তা প্রয়োগ করব। এই ব্যাপারে আমাদের কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নাই। আমরা একদম বদ্ধপরিকর যে, যেভাবেই হোক একটা সুন্দর নির্বাচন করব। সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী (সশস্ত্র বাহিনী) প্রয়োজন হলে থাকবে। কয়দিন কীভাবে মোতায়েন করা হবে, সে সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি এখনো। আমরা যদি বুঝি যে থাকবে, আসবে তারা।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সংকট সমাধানে আমি বিশ্বাস করি তারা আসবে। যেহেতু সময় আছে, যদি ওনারা (বিএনপি) মনে করেন স্পেসটা কাজে লাগাবেন। তফসিল যেহেতু হয়ে গেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আর কোনো সুযোগ নেই। যতটুকু সুযোগ ছিল, আমরা বারবার ডেকেছি, তারা আসেনি। তবে আসতে চাইলে আমরা নিষেধ করব, তা নয়। সবাই না এলে এক ধরনের শূন্যতা, হতাশা যাই বলেন, জাতির কাছে সেটা তো আছেই। এটা অস্বীকার করার তো কোনো উপায় নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই জেলা জজ বলেন, একজন এমপি সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রতিবেদন দিয়েছেন। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব, দেরি হবে না। যারা এখন অনিয়ম করছেন, তারা আদৌ প্রার্থী হবেন কি-না আমরা নিশ্চিত না। তবে বড় ধরনের কিছু হলে তো আমরা অবশ্যই করব।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এই পর্যন্ত আমরা যতগুলো নির্বাচন করেছি, হাজারের ওপরে প্রায় নির্বাচন হয়েছে, লোকাল ইলেকশন, বাই ইলেকশন। আমরা কখনোই কিন্তু ওনাদের (সরকারের) কাছ থেকে অসহযোগিতামূলক কোনো আচরণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা যারা ভোটের মাঠে কাজ করেছেন, তাদের কাছ থেকে পাইনি। দুই-একটা ঘটনা আলাদা। নির্বাচনকালীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে যতগুলো বিভাগ আসবে, যে সহযোগিতা চাইব তা দিতে সংবিধান অনুযায়ী দিতে তারা বাধ্য। না দিলে তো নির্বাচনই হবে না।

আরও পড়ুন:
বিএনপি ভোটে এলে পুনঃতফসিলের বিবেচনা করবে ইসি

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।