বাগেরহাট: বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী হওয়ায় কৃষক লীগের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম রাজুকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে বাগেরহাট জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শেখ আবুল হাসেম শিপন ও সাধারণ সম্পাদক মো. মনি মল্লিক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ বিতর্কিত বেশকিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা জেলা কৃষক লীগ পর্যালোচনা করিয়া অনুভব করি, আপনার কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। সুতরাং আপনাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলীয় সব কর্মকাণ্ড হইতে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হইল। ’
বাগেরহাট জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শেখ আবুল হাসেম শিপন বলেন, দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের কারণে সর্বসম্মতিক্রমে রেজাউল ইসলাম রাজুকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকেও জানানো হয়েছে।
সদ্য নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দল বিএনএম থেকে বাগেরহাট-৪ আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম রাজু।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে সাংবাদিকরা তার কাছে দলের জেলা কমিটির সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতাদের নাম জানতে চাইলেও তিনি বলতে পারেননি। বলতে পারেননি জেলা কার্যালয়ের ঠিকানাও।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৪ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আটজন। এরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান (সোহাগ), বিএনএমের রেজাউল ইসলাম রাজু, জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রি, জাকের পার্টির বাদল রেজা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মুহাম্মদ লোকমান, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মুহাম্মদ বদরুজ্জামান, তৃণমূল বিএনপির লুৎফর নাহার রিক্তা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা এম আর জামিল হোসাইন।
এদের মধ্যে এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
এদিকে স্থানীয়ভাবে প্রচার আছে, কৃষক লীগ নেতা রেজাউল মূলত আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ‘ডামি প্রার্থী’ হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২৩
এসআরএস