ঢাকা: দলীয় কোন্দল এবং নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে গণতন্ত্রী পার্টি। ইতোমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির দেওয়া সব প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২০০৮ সালে ইসিতে নিবন্ধন পাওয়া দলটি সংসদ নির্বাচনের সামনে এসেও দ্বন্দ্ব মেটাতে পারেনি। ফলে সভাপতি ব্যারিস্টার মো. আরশ আলীর পক্ষের সাতজন ও সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষের পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ ছাড়া দলের প্রার্থী মনোনয়নকারীর ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক দুজনই চিঠি দেন ইসিতে।
কার নেতৃত্বে দলটি চলছে, তা নিয়ে গত ৯ ডিসেম্বর শুনানিও করে কমিশন। এতে তাদের জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দলটির সংসদ নির্বাচনের সব প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত দেয় সংস্থাটি।
ইতোমধ্যে ইসির উপ-সচিব মো. মাহবুব আলম শাহ প্রার্থিতা বাতিলের ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়, ‘গণতন্ত্রী পার্টি’ নামীয় দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পৃথক পৃথকভাবে দাখিল করা কমিটি কমিশন কর্তৃক নামঞ্জুর করা হয়েছে। সুতরাং ‘গণতন্ত্রী পার্টি’ নামীয় রাজনৈতিক দলের অনুমোদিত কোনো কমিটি বিদ্যমান নেই।
এমতাবস্থায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ‘গণতন্ত্রী পার্টি’ নামীয় দলের কোনো পদধারীর দাখিল করা প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়ার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, কমিটি না থাকায় এবং সময় সময় চাওয়া তথ্য না দেওয়ায় দলটির নিবন্ধন বাতিলেরও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
দলটির নিবন্ধন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানাতে ১৫ দিন সময় বেঁধে দিয়ে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে ইতোমধ্যে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সভাপতি আরশ আলী ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন জানান, তারা কোনো চিঠি এখনো কমিশন থেকে পাননি। চিঠি পেলে কমিশনের কাছে আপিল করবেন।
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৪টি। এদের মধ্যে ২৯টি দল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে। গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল হলে ভোটে থাকবে ২৮ দল। আর নিবন্ধন বাতিল হলে দল থাকবে ৪৩টি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ