ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ফরিদপুর-১: মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন মাহমুদা বেগম কৃক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
ফরিদপুর-১: মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন মাহমুদা বেগম কৃক মাহমুদা বেগম কৃক

ফরিদপুর: ফরিদপুর-১ আসনে (মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রেসিডিয়াম মেম্বার মো. আব্দুর রহমানকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মাহমুদা বেগম কৃক।

 এর আগে তিনি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

মাহমুদা বেগম কৃক বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। বর্তমানে মহিলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। সারা দেশের মহিলা আওয়ামী লীগকে আমি সংগঠিত করে একটি অন্যতম বৃহত্তম সক্রিয় সংগঠনে পরিণত করেছি। ঢাকার কাফরুল কচুক্ষেতে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) কমিশনার নির্বাচিত হয়ে প্রায় ১১ বছর জনগণের সেবা করেছি।  

তিনি বলেন, এছাড়া ফরিদপুর-১ আসনের আপামর জনসাধারণের সঙ্গে বিগত বছরগুলোতে মিলেমিশে আছি। সংসদ সদস্য না হয়েও এলাকার অসংখ্য উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে ভূমিকা রেখেছি। আসন্ন নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিযোগিতামূলক করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু ইতোমধ্যে আপনারা সবাই দেখছেন, ফরিদপুর-১ এর নির্বাচন বর্তমানে নৌকা, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পদচারণায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ হয়ে উঠেছে।

৩৫ বছর ধরে নৌকারই যাত্রী। সুতরাং এই মুহূর্তে নৌকার ভোটারদের বিভক্ত না করে নৌকাকে বিজয়ী করাটাই আমার রাজনৈতিক দায়িত্ব এবং সেটাকে বিবেচনায় নিয়ে আমার বড় ভাই, রাজনৈতিক গুরু, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান ভাইকে সমর্থন দিয়ে আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি।  

মাহমুদা বেগম নেতা-কর্মীকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে সব ভেদাভেদ ভুলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় অবদান রাখতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, কোনো ভয়ভীতি বা দলীয় চাপের মুখে আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করিনি। দলকে ভালোবেসেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রাজনীতিতে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে আমার, সে কারণে দলের সঙ্গেই থাকতে চাই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি মানেই দূরে চলে যাচ্ছি তা নয়, এলাকার মানুষের পাশে অবশ্যই থাকব।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলটির প্রেসিডিয়াম মেম্বার মো. আব্দুর রহমান, বিএনএমের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর, জাতীয় পার্টির আকতারুজ্জামান খান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নুর ইসলাম শিকদার, জাকের পার্টির আব্দুর রউফ মোল্যা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।