ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা ২৬৩টি আসনে নির্বাচন করছে বলে জানিয়েছেন দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
বাকি ৩৭টি আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টিকে ২৬ আসন, জাসদকে তিনটি আসন, ওয়ার্কার্স পার্টিকে দুটি আসন এবং জেপিকে (মঞ্জু) একটি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আর পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। ঋণখেলাপিসহ নানা কারণে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, জাতীয় পার্টিকে ২৬টিসহ শরিকদের মোট ৩২টি আসনে আওয়ামী লীগ ছাড় দিয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আমাদের নিজেদের পাঁচটি আসনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। সেসব আসন আমাদের দিক থেকে উন্মুক্ত থাকবে।
এর আগে ২৬ নভেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের প্রধান কার্যালয়ে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
যে পাঁচ আসনে নৌকার প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল
পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থিতা খেলাপি ঋণসহ নানা কারণে বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এ পাঁচ প্রার্থী হলেন- কক্সবাজার–১ আসনে সালাহ উদ্দীন আহমদ, বরিশাল-৪ আসনে শাম্মী আহমেদ, ময়মনসিংহ-৯ আসনে মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম, যশোর-৪ আসনে এনামুল হক বাবুল, ফরিদপুর-৩ আসনে শামীম হক।
২৬ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৩ আসনে রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর-১ আসনে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার, রংপুর-৩ আসনে জিএম কাদের, কুড়িগ্রাম-১ আসনে মুস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ আসনে শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-২ আসনে মো. আব্দুর রশিদ সরকার, বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ নুরুল ইসলাম তালুকদার, সাতক্ষীরা-২ আসনে মো. আশরাফুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ আসনে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু, পিরোজপুর-৩ মাশরেকুল আজম রবি, ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মো. মুজিবুল হক চুন্নু, মানিকগঞ্জ-১ আসনে জহিরুল আলম রুবেল, ঢাকা-১৮ আসনে শেরীফা কাদের, হবিগঞ্জ-১ আসনে মো. আবদুল মুনিম চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আব্দুল হামিদ, ফেনী-৩ আসনে লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ আসনে সোলায়মান আলম শেঠ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমান।
৬ আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থীরা
ওয়ার্কার্স পার্টিকে দুটি ও জাসদকে তিনটি এবং জাতীয় পার্টিকে (জেপি) একটি আসন দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বরিশাল-৩, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী-২ জোটের প্রার্থী হয়েছেন।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২, এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন বগুড়া-৪ ও মোশাররফ হোসেনকে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে ছাড় দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
আর জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২ আসনে জোটের প্রার্থী হচ্ছেন। এর মধ্যে কুষ্টিয়া-২ আসনে আগে থেকেই কোনো প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ।
তালিকা দেখতে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
এনবি/আরএইচ
