ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোটারকে বাধা-ভয় দেখালে আইনগত ব্যবস্থা: রাশেদা সুলতানা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
ভোটারকে বাধা-ভয় দেখালে আইনগত ব্যবস্থা: রাশেদা সুলতানা নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা

নাটোর: নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কোনো ভোটারকে ভোট দিতে বাধা দেওয়া হলে বা ভয়ভীতি দেখালে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ অবস্থা তৈরি হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নিতে হবে।

ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসবেন। এই পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছি আমরা।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার প্রাক্কালে এ কথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসক এবং নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আবু নাছের ভূঁঞা সভায় সভাপতিত্ব করেন। এসময় নির্বাচন কমিশনার জেলার চারটি সংসদীয় আসনের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

সভায় নির্বাচন কমিশনার বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত আছে। সেনাবাহিনীও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত হবে। প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, জুডিসিয়াল বিচারকের নেতৃত্বে ইলেকট্রোরাল কমিটিও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে। এই কমিটি অভিযুক্ত প্রার্থীদের কারণ-দর্শানো নোটিশ করছে, সতর্ক করছে। নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনে অভিযুক্ত প্রার্থীদের আর্থিক দণ্ড প্রদান করবে, এমনকি প্রার্থীতাও বাতিল করতে পারে।

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে অবাধ ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, দেশের সব এলাকাতে গিয়ে সভা করছি, তাদের উদ্বুদ্ধ করছি।

তিনি বলেন, কোনো ভোটার যদি বলে তিনি আতঙ্কে রয়েছেন। তাকে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে, তাহলে কোনো প্রমাণ বা সাক্ষী লাগবে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। ভোটাররা নির্দ্বিধায় ভোটকেন্দ্রে আসবেন এবং যাকে খুশি ভোট দেবেন। সেজন্য নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা সবাইকে নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাই। যাতে প্রার্থীরা নির্দ্বিধায় ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। যাতে পরিবেশটা বিঘ্ন না হয়, পরিবেশটা সুন্দর হয়। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারেন। আমি ভোটারদের বলবো, আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসবেন এবং আপনার পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেবেন।

তিনি আরও বলেন, কোনো ভোটারকে যদি কেউ তার বাড়িতে, বাইরে, ভোটকেন্দ্রে বাধা বা হুকমি, ভয়-ভীতি দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে সে ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং তার শাস্তি হবে। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছে। ভোটের মাঠে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। তাদের সামনে কোনো প্রকার অপরাধ সংঘটিত হলে তারা তদন্ত করে রিপোর্ট কমিশনে পাঠাবেন। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে অনেক প্রার্থীদের তাদের আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে শোকজ করা হয়েছে। যদি আবারও আচরণবিধি ভঙ্গের সত্যতা পায় তাহলে কমিশন সেই প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলও করতে পারেন।

এসময় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জসীম উদ্দীন হায়দার, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।