ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কালকিনিতে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল, কেন্দ্র সাময়িক বন্ধ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৪
কালকিনিতে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল, কেন্দ্র সাময়িক বন্ধ 

মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার কালকিনিতে ব্যালট পেপারে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দিয়ে বাক্সে ভরার অভিযোগ ওঠায় একটি কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।  

রোববার (৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ৬৮ নম্বর দক্ষিণ রমজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রটি বন্ধ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আলমগীর মৃধা।  

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট।  

ওই কেন্দ্র থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট কামরুল হাসান বলেন, কেন্দ্রে ঝামেলা দেখে আমরা দ্রুত কেন্দ্রে চলে আসি। পরিস্থিত শান্ত আছে। এ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ আপতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ইউএনও এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দক্ষিণ রমজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোয়া ১১টার দিকে এ কেন্দ্রে আসেন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপ। এসময় গোলাপের সঙ্গে ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী-সমর্থক ছিলেন। তিনি কেন্দ্রে আসার পরই স্বতন্ত্র প্রার্থীর তাহমিনা বেগমের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। পরে প্রকাশ্যে নৌকার পোলিং এজেন্ট দুলাল বেপারি ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল দিতে শুরু করেন। এরপরই কেন্দ্রে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেন কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার।

নৌকার পোলিং এজেন্ট দুলাল বেপারি বলেন, নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দেওয়া হয়নি। আমি কিছুই করিনি। ঈগলের এজেন্ট কোথায়, তা বলতে পারব না।

স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার এজেন্ট বের করে দিয়ে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দেওয়া হচ্ছে। ভোটের পরিবেশ নষ্ট করছেন গোলাপ। প্রশাসনকে বিষয়টি কঠোরভাবে দেখার অনুরোধ করছি।

এ সম্পর্কে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আলমগীর মৃধা বলেন, এ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৬১৯। সকাল ১০টা পর্যন্ত ২০০ ভোট কাস্টিং হয়েছে। এমপি সাহেব (আবদুস সোবহান গোলাপ) কেন্দ্রে আসার পরই ঝামেলা শুরু হইছে। এক সাবেক মেম্বার নৌকার পোলিং এজেন্ট দুলাল বেপারিকে এমপি সাহেব ফোন করার পরই ঝামেলা সৃষ্টি হলো। পরে দুলালকে বাঁধা দিতে গেলে আমাকে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) গায়েও হাত দেন তিনি।

এরপর উত্তেজনা সৃষ্টি হলে কেন্দ্রটি আমরা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছি। ইউএনওকে খবর দিয়েছি। তিনি এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ব্যালটে নৌকায় সিল দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, সিল দিতে আমি দেখিনি।

মাদারীপুর-০৩ আসনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ জানান, অনিয়মের অভিযোগে রমজানপুরের ভোটকেন্দ্রটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।