ঢাকা: জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে ও মজিবুল হক চুন্নুকে মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নিজেকে চেয়ারম্যান পদে আসীন করার যে ঘোষণা রওশন এরশাদ দিয়েছেন, সেটি আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। তবে দল ভেঙে গেলে বা কাউন্সিলের পর নতুন কমিটির কোনো চিঠি এলে তা আমলে নেবে সংস্থাটি।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে কমিটি আছে, সেখানে চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পদে যাকে রাখা হয়েছে তাকেই আমরা আমলে নেবো। অন্য কোনো কমিটি হলে তা কাউন্সিলের মাধ্যমে আসতে হবে। এক্ষেত্রে দুই পক্ষ থেকে দুইটি কমিটি হলে তখন আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করবো। আইনি দিকগুলো তখন খতিয়ে দেখা হবে।
সম্প্রতি গণতন্ত্রী পার্টি এমন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ইসির নিবন্ধন হারানোর পথে রয়েছে। জাতীয় পার্টিরও সে অবস্থা হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, পরিস্থিতি একই হলে তখন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রোববার গুলশানের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে রওশন এরশাদ ওই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি পাঁচটি সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে-
১. এমতাবস্থায় উল্লিখিত সংকট নিরসনে পার্টির নেতাকর্মীদের অনুরোধে এবং পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে জি এম কাদের ও মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিলাম।
২. নেতাকর্মীদের অনুরোধে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলাম।
৩. পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত আমি কাজী মো. মামুনুর রশিদকে মহাসচিবের দায়িত্ব দিলাম। তিনি সার্বিকভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
৪. পার্টির অন্যান্য পদ পদবি নিজ নিজ অবস্থায় বহাল থাকবে এবং পার্টির যে-সব নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কিংবা বহিষ্কার করা হয়েছে এবং যাদের পার্টির কমিটির বাইরে রাখা হয়েছিল তাদের আগের স্ব-পদে পুনর্বহাল করা হবে।
৫. শিগগিরই পার্টির জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
ইইউডি/এফআর