ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেভাবে করেছি, উপজেলা নির্বাচন তারচেয়ে ভালোভাবে করব। কারণ জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে ৩০০ আসনে করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এখানে (উপজেলা নির্বাচন) কমপক্ষে চার ধাপে করব। প্রতি ধাপে ১০০ বা এর কাছাকাছি উপজেলায় ভোট হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের এফোর্ট বেশি থাকবে। আমরা আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হয়ে গেছে। ঘোষণার পর কেন মনে হলো আইন সংশোধন করা দরকার, নাকি সরকার চাইছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি মো. আলমগীর বলেন, আমরা আসলে কোনো আইন সংশোধন করতে চাইনি। আচরণ বিধিমালায় কিছু কিছু জায়গায় অসংগতি আছে, কিছু অস্পষ্টতা আছে। এসব যারা প্রয়োগ করতে চান, তারা ফিডব্যাক দিয়েছেন। সেই ফিডব্যাকের পর এসব পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। আচরণ বিধিমালা শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন সংশোধন করতে পারে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের একটা ভেটিং লাগে। তা পেলে আমরাই জারি করতে পারি।
তিনি বলেন, পোস্টার ভিজে যেন না যায়, সেজন্য কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে এগুলো ডিসকার্ড করার জন্য বলা আছে। এ ধরনের বিধি, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটারদের সাক্ষর- এসব বিষয়ে সচিবালয় হয়তো ফিডব্যাক পেয়েছে। মিশ্র মতামত আছে। এ মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না।
স্বতন্ত্র হলে ভোট করা আপনাদের জন্য সহজ হয় কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, না, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অথরিটি স্থানীয় সরকার। তারাই তো দেখবে কোনটি রাখলে ভালো, কোনটি রাখলে খারাপ। আমাদের দায়িত্ব হলো নির্বাচন করা। যে পদ্ধতি থাকবে, সে পদ্ধতিতে আমরা নির্বাচন করব। যেমন সংসদে কয়টি আসন থাকবে এটা তো নির্বাচন কমিশন দেখতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো নির্বাচন করে দেওয়া।
ভোট তো স্থানীয় সরকারের এবং থাকছে না দলীয় প্রতীক। এ নিয়ে আপনাদের কী মনে হয়? অংশগ্রহণমূলক ভোট হতে যাচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক যারা আছেন, বিষয়টি তারা ভালো বলতে পারবেন। আমরা আশা করি, যারা যোগ্য প্রার্থী, যাদের জনসমর্থন রয়েছে, তারা নির্বাচনে অংশ নিলে একটি সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন যাতে হয়, শান্তিপূর্ণ হয়, সে চেষ্টা আমরা করব।
আপনি বলছেন যাদের জনসমর্থন আছে তারা ভোটে আসবেন। তাহলে বিএনপির কি কোনো জনসমর্থন নেই? এ কারণে তারা ভোটে আসে না- এমন প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, সেটি তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের আহ্বান, যারা জনসমর্থন আছে বলে মনে করে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।
জাতীয় নির্বাচন হলো। বিএনপি এলো না। আপনাদের ওপর তাদের আস্থা নেই, এজন্য তারা আসেনি। অতৃপ্তি লাগে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই অধিকার তো তাদের আছেই। রাজনৈতিক দলের নেতারা কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটি তাদের বিষয়। এ সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশনের কোনো হাত নেই। আমাদের আয়োজন থাকে সবার জন্য। কে সাড়া দেবেন, আর কে দেবেন না, তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, ইতিহাস বলে স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি হয়। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক পার্টিসিপেশন থাকে, এ কারণে ভোটের মাঠে অটোমেটিক ব্যালেন্স তৈরি হয়। সেখানে আমরা এফোর্ট দিলে সুষ্ঠু ভোট হবে বলে আমরা মনে করি।
ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৪, ১১, ১৮ ও ২৫ মে দেশের ৪৫২টির মতো উপজেলার সাধারণ নির্বাচন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪
ইইউডি/আরএইচ