ঢাকা: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হিজড়া পরিচয়ে ভোট করার বিধান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এমন বিধান আনতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা সংশোধন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।
স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটার সমর্থনের তালিকা দাখিলের বিধান বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করারও বিধান হচ্ছে। এ ছাড়া চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে জামানত এক লাখ টাকা, ভাইস চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার টাকা এবং নারী সদস্যের ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সমভোটের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে ফল নির্ধারণ, প্রদত্ত ভোটের শতকরা ১৫ ভাগ অপেক্ষা কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত, চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ টাকা এবং নারী সদস্যদের এক লাখ টাকা করা, মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ হিসেবে হিজড়াদের অন্তর্ভুক্ত করা, নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটগ্রহণে কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া, মনিটরিং কমিটি গঠনের ও নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত হওয়ায় প্রতীক অন্তর্ভুক্তি বা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘হিজড়া’ পরিচয়ে সংসদে বসার আইনি বাধা কাটল
অন্যদিকে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ সংশোধনের প্রস্তাবে পোস্টার, ব্যানার সাদা-কালো অথবা রঙিন করার প্রস্তাব করা, প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে জনসংযোগ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ সৃষ্টি, পাঁচজনের বেশি কর্মী বা সমর্থককে নিয়ে জনসংযোগ না করা, প্রতি ইউনিয়নে একটি এবং পৌরসভার প্রতি তিনটি ওয়ার্ডে একটির বেশি নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন না করা, নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিসের আয়তন ৬০০ বর্গফুটের বেশি না করা, নির্বাচনী প্রচারণায় একটির বেশি শব্দযন্ত্র (হর্ন) বা জনসভায় চারটির বেশি শব্দযন্ত্র (হর্ন) ব্যবহার না করা, শব্দদূষণ প্রতিরোধে শব্দ বর্ধনকারী যন্ত্রের শব্দের মান মাত্রা ৬০ ডেসিবলের বেশি না করা ও প্রচারণায় পোস্টার বা ব্যানারে পলিথিনের ব্যবহার না করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, সংশোধনী প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং হয়ে এলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
ইইউডি/আরএইচ