ময়মনসিংহ: প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচন। সেই সঙ্গে পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরীর অলিগলি থেকে শুরু করে হাট-বাজার ও সড়ক-মহাসড়কগুলো।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ছিল মসিক নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের চতুর্থ দিন। এদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর পথে পথে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে। এতে বাদ যায়নি বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে দোকানপাট, হাট-বাজার ও নগরীর কাঁচা বাজারগুলোও। ফলে প্রার্থীদের বিরামহীন প্রচারণায় নগরজুড়ে নির্বাচনী উৎসবমুখর বইছে।
এর মধ্যে মসিকের সদ্য সাবেক মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নগরীর কালীবাড়ী এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি আবারও জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়ে স্মার্ট নগরী গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, বৈশ্বিক কারণে নগরীর প্রত্যাশিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। তবে আবারও সুযোগ পেলে নগরীর যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসন আধুনিক স্মার্ট নগরী গড়তে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
একইভাবে নগরীর নগরীর গাঙ্গিনাপাড় এলাকায় গণসংযোগ করেছেন হাতি প্রতীক নিয়ে মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কী (টজু)। এর আগে তিনি ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ১৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা করে স্মার্ট নগরী গড়তে মেয়র পদে ভোট প্রার্থনা করেন।
নগরীর ৩১ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করেছেন ঘোড়া প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম। সেই সঙ্গে নগরীর খাগডহর, কিসমত, ঘুণ্টি ও নওমহল এলাকায় গণসংযোগ করে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন হরিণ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে এহতেশামুল আলম বলেন, নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্য নিয়ে আমি মেয়র প্রার্থী হয়েছি। মানুষ পরিবর্তন চায়। কারণ পরিবর্তন ছাড়া নতুন নগরী গড়া সম্ভব নয়।
এছাড়াও নগরীর বাঘমারা, ভাটিকাশর, চরপাড়া মোড়, বাড়েরা এলাকায় গণসংযোগ করেছেন জাতীয় পার্টি সমর্থিত নাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল। এ সময় তার সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মী ও কর্মী-সমর্থকদের দেখা গেছে।
তবে একাধিক ভোটার জানান, বিগত বছরে নগরীতে প্রত্যাশী অনুযায়ী উন্নয়ন হয়নি। জনসেবক হিসেবে ইকরামুল হক টিটু অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছেন। এর মূল কারণ টিটুর জনসম্পৃক্ততা। ভোটের মাঠে শেষ হাসি, কে হাসে তা এখন অপেক্ষার বিষয়।
প্রসঙ্গত, এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৩২ পুরুষ, এক লাখ ৭২ হাজার ৬৫৫ নারী। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের নয়জন ভোটার আগামী ৯ মার্চ ইভিএমে ১২৮ কেন্দ্রে ভোট প্রয়োগ করবেন।
এতে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী ছাড়াও নগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী আছেন ৬৯ জন। তবে নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিল নির্বাচিত হওয়ায় কাউন্সিলর পদে ৩২টি ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪
এসএম