বরিশাল: আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় বরিশালের হিজলা ও মুলাদী উপজেলার ভোটের প্রার্থীদের বাছাইয়ে এক জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। প্রার্থিতা বহাল রয়েছে ২০ প্রার্থীর।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাছাইয়ে মুলাদী উপজেলার এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয় বলে জানিয়েছেন রিটানিং কর্মকর্তা (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক) মনদীপ ঘরাই।
জানা গেছে, আগামী ২১ মে দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২১ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই জানান, ঋণ খেলাপির দায়ে মুলাদী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী তারেক আহমদ খানের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়েছে।
বর্তমানে দুই উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ২০ প্রার্থী। এর মধ্যে মুলাদী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুই, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী রয়েছেন।
মুলাদীতে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা প্রার্থীরা হলেন-বর্তমান চেয়ারম্যান তারিকুল হাসান খান মিঠু ও মো. জহিরউদ্দিন। এছাড়া এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী মাইনুল আহসান সবুজ ও মো. অহিদুজ্জামান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাদিরা, মাকসুদা আক্তার ও সামিমা নাসরিনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অপরদিকে হিজলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয় ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা প্রার্থীরা হলেন-সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টিপু সিকদার, তার ছোট ভাই আলতাফ মাহমুদ দিপু সিকদার, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমান।
এছাড়া এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী মো. কামরুজ্জামান, মো. ফারুক ইসলাম, মো. মিজানুর রহমান, লোকমান হোসেন, মো. সাইদুল ইসলাম মাহিম ও মো. সোলাইমানের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমা বেগম ও সেলিনা ইসলামের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়া মুলাদী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী তারিক আহমেদ খান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শের ই বাংলা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ করেছেন।
বুধবার টাকা পরিশোধের কাগজ পত্র রিটানিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
এমএস/এসআইএস