ঢাকা, সোমবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ জুন ২০২৪, ১৬ জিলহজ ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

উপজেলা নির্বাচন

সালথায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ওয়াহিদুজ্জামান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২৪
সালথায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ওয়াহিদুজ্জামান

ফরিদপুর: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামান। এ উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের পরিবারের নামে লাভজনক প্রতিষ্ঠান থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

 

শুক্রবার (৩ মে) সালথা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াছিন কবীর।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে নিজ স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থাকায় বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিনি আপিল করলে সেখানেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তবে প্রার্থীতা ফিরে পেতে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আপিল করেছেন বলে জানা গেছে। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ছয়জন ও নারী নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতীক চারজন প্রার্থী প্রতীক পেয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের দিন চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে নিয়মানুযায়ী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঘোষণা করা হয়।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও সালথা-নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন কবীর জানান, নির্বাচনের বিধিমালা অনুসারে আমরা সালথায় দুজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র পাই। প্রাথমিক বাছাইয়ে পরিবারের সদস্যদের নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকায় মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পরে ওয়াদুদ মাতুব্বর জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর আপিল করেন। কিন্তু সেখানেও ডিসি তার মনোনয়ন আবারও বাতিল ঘোষণা করেন। তাই নিয়মানুযায়ী আর কোনো প্রার্থী না থাকায় মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। সেটা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠানো হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, শুনেছি বাতিলকৃত প্রার্থী হাইকোর্টে একটি মামলা করেছেন। তবে এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো কাগজপত্র আসেনি। পরে এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র এলে সেটাও ইসিতে পাঠানো হবে। আর যদি বাতিলকৃত প্রার্থীর কোনো কাগজপত্র না আসে তাহলে বেসরকারিভাবে যে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, সেটাই বহাল থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

ফরিদপুর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জেলার সব ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে নির্বাচনের সব সরঞ্জামাদি স্ব স্ব উপজেলায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।