ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

উপজেলায় ভোট কম পড়ার কারণ কী?

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
উপজেলায় ভোট কম পড়ার কারণ কী?

ঢাকা: সদ্য অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোট পড়ার এই হারকে ‘কম’ আখ্যা দিয়ে দায়ী কিছু কারণও চিহ্নিত করেছে।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মোটা দাগে পাঁচ কারণে ভোট কম পড়েছে। এগুলোর মধ্যে বৈরি আবহাওয়া, ভোটে বিএনপি অংশ না নেওয়া, জনপ্রিয় প্রার্থীর অভাব, ধান কাটার মৌসুম এবং সাধারণ ছুটি থাকায় শ্রমিকরা নিজ এলাকায় চলে যাওয়ায় ভোট কম পড়েছে।

তিনি নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে বলেন, ধান কাটার মৌসুম বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে বুরো ধান যেসব এলাকায় আছে, এটা আমাদের আগেই মাঠ প্রশাসন থেকে বলেছে, যে ধান কাটার মৌসুমের জন্য ভোট কম পড়তে পারে। এছাড়া ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। আবার একটি বড় দল রাজনৈতিকভাবে অংশ না নেওয়ায় ভোট কম হয়েছে। শহর এলাকার ছুটি থাকলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়। গাজীপুরে কিন্তু ভোট কম পড়েছে। শুধু ধান কাটা না, নানা কারণে ভোট কম পড়েছে। আরও কোনো কারণ থাকলে তা গবেষকরা বলতে পারেন।

এছাড়া প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপরও ভোট পড়ার হার নির্ভর করে। এই নির্বাচনের ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন এলাকাও আছে। আবার ১৭ শতাংশও ভোট পড়েছে এমন উপজেলাও আছে।

সিল মারার সংস্কৃতি থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, রাজনীতি তো সংস্কৃতির অংশ। তাই এনিয়ে বুদ্ধিজীবী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। যারা গবেষণা করেন তাদের সঙ্গে বসতে হবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, গতকালের নির্বাচনে আমাদের কড়া বার্তা ছিল যে নির্বাচনে কোনোভাবে অনিয়ম হওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশন চেয়েছে বলেই সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। ছোটখাটো ত্রুটি হতেই পারে, সেই ত্রুটিকে বড় করে দেখার কোনো কারণ নেই। যারা জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে জেল, একজনকে মামলা দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা খুব সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এই নির্বাচনে জাতীয় সরকার পরিবর্তন হবে না। তাই দলগুলোকে ভোটে আসার জন্য আলোচনায় ডাকা হয়নি। এই নির্বাচনে সংলাপ করার কোনো দরকার নেই। তবে সব দল আসলে ভোট পড়ার হার আরও বেশি হতো।

২২ উপজেলায় ইভিএমে ভোট হয়েছে, ভোট পড়ার হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর ব্যালট পেপারে ১১৭ উপজেলায় ভোট হয়েছে। ১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়ার হার ৩৬ দশমিক এক শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাটেরে ক্ষেতলালে ৭৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বগুড়ার সোনাতলায়।

বুধবার (০৯ মে) দেশের প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
ইইউডি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।