ঢাকা: মন্ত্রীরাই কোনো না কোনো দলের হয়ে নির্বাচন করেন। তাই তাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদমর্যাদা মন্ত্রীর চেয়ে বেশি চান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা।
নির্বাচন বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কাছে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এমন প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বর্তমানে সিইসির পদমর্যাদা আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান ও নির্বাচন কমিশনারদের পদমর্যাদা হাইকোর্টের বিচারপতিদের পদমর্যাদার সমান। তাই নির্বাচন ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে সিইসির পদমর্যাদা মন্ত্রীর ওপরে এবং নির্বাচন কমিশনারদের মর্যাদা আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সমান করার জন্য প্রস্তাব আনা হয়েছে।
এছাড়া নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের পদটি তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণসহ মাঠ পর্যায়ের অন্য পদগুলোর মর্যাদা সরকারের অন্য দপ্তরের সমান করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কেননা, নির্বাচনের সময় তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য পৃথক ক্যাডার বা সার্ভিস গঠনের প্রস্তাব করেছেন তারা।
এছাড়া নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা, না ভোটের বিধান ফের চালু, শাস্তি বৃদ্ধি, সরকারের অন্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পরিবর্তে নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা পদে নিয়োগ, প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে ইসির অধীনেই রাখা, সিসি ক্যামেরায় সকল নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, দলের নিবন্ধন স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও দলের কার্যক্রম তদারকি, রিটার্নিং অফিসারদের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন, অভিযোগ নিষ্পত্তি কেন্দ্রের ব্যবস্থাকরণের প্রস্তাবও দিয়েছে ইসি কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে সিভিক এডুকেশন ও ভোটার এডুকেশন নিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ, নির্বাচনী প্রচার নৈতিক ও সমতাভিত্তিক করা, কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চর্চায় উদ্বুদ্ধকরণ, প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ সহজীকরণ, আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার কথাও তারা বলেছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট আইনে সংশোধন ও নতুন আইনের সুপারিশও করেছেন ইসি কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
ইইউডি/এমজে