ঢাকা: ঐকমত্য কমিশন থেকে আসা সিদ্ধান্তের আলোকে এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একইসঙ্গে প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কথাও বলেছে দলটি।
রোববার (২০ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করে এনসিপি। পরে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যূত্থানে যারা শহীদ, আহত; গত ১৫ বছরের যারা গুম খুনের শিকার হয়েছেন, বড় একটি জায়গা ছিল আমাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় রুপান্তর করা হয়েছিল। এই কাঠামো রুপান্তরে অন্যতম ভূমিকা রেখেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা যে নতুন একটি বাংলাদেশ পুনর্গঠন করতে যাচ্ছি, এই সংস্কার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমরা যাতে নির্বাচন কমিশনকেও নিয়ে যেতে পারি, সেটা নিয়ে আমরাদের দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে।
আমরা বলেছি গত তিনটি নির্বাচনে যারা অংশ নিয়েছিল, প্রার্থী ও নির্বাচন কমিশনের অনেক কর্মকর্ত-কর্মচারি যারা এই বিষয়গুলোর (অনিয়ম) সঙ্গে জড়িত ছিল, তদন্তের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে তাদের দৃশ্যমান বিচারের আওতায় আনতে হবে। যাতে ভবিষ্যত বাংলাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠান, স্বাধীন, সাংবিধানিক হোক বা অসাংবিধানিক হোক, কোনো ব্যক্তি যেন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে না গিয়ে বাংলাদেশের হাজারো মানুষের রক্তের ওপর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে, নতুন একটি যাত্রা করতে পারে। এবং এই দুঃসাহস যেন কেউ না দেখাতে পারেন। কমিশন প্রতিশ্রুতবদ্ধ হয়েছেন। তারা বলেছেন, আমরাদের কর্মকর্তা-কর্মচারি যারা রয়েছেন, তাদের কাছ থেকে শপথ নিয়েছেন। কিন্তু আমরা বলেছি, শুধু শপথ নিলে হবে না, ১৫ বছর যারা এই কাজগুলো করেছে, তাদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে হবে।
নাসির বলেন, আমরা আরও বলেছি, মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য যারা প্রার্থী রয়েছে তাদের স্বশরীরে উপস্থিত হতে হবে। আমরা দেখেছি অনেক বড় বড় ঋণ খেলাপি থেকে শুরু করে জনগণের ভোটের মধ্যে সংসদের মধ্যে একটি দুবৃত্তায়ন চালু করেছে। আমরা আর এই ব্যবস্থা দেখতে চাই না। আমরা দেখতে চাই গ্রামের মসজিদের ইমাম, স্কুল শিক্ষক; যারা কোনো ধরণের টাকার বাণিজ্যের সঙ্গে ছিল না, যারা এই পঁচা, গলা সমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না, এই সুন্দর মানুষগুলো যেন পার্লামেন্টে গিয়ে ভবিষ্যত বাংলাদেশ গঠন করতে পারে। সে ব্যবস্থা করে, গুণ্ডা-মাস্তানকে পরিহার করে স্বশরীরে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নতুনভাবে বাংলাদেশ গড়ার জন্য দাবি জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় প্রিজাইডিং অফিসারদের সংবিধানিক জায়গায় তাদের বড় একটা ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে কোথায় কীভাবে নির্বাচন হয়েছে সে নিয়ে কোনো দায়ভার নেয় না নির্বাচন কমিশন। তাই আমরা বলেছিলাম গেজেট পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচন কমিশন থেকে একটি সার্টিফিকেশন দিতে যে এই নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু হয়েছে; যাতে পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনকে আইনের আওতায় আনা যায়। আমরা দেখেছি, গত ১৫ বছরে নির্বাচন কমিশন কোনো সার্টিফিকেশন দেয় নাই। বরং বিভিন্ন দলীয় অফিস থেকে সার্টিফিকেশনগুলো এসেছে। এজন্য আমরা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে আমরা সাংবিধানিক আকারে দেখতে চাই। আমরা কমিশনকে মানুষের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই।
আমরা আরও বলেছি, যাতে নির্বাচনি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয়। কেননা, অতীতে অনেক প্রার্থী ঋণ খেলাপি হয়েও ছল-চাতুরির আশ্রয় নেন। তাই হলফনামা বিশ্বাসযোগ্য কিনা, তা তদন্তের মাধ্যমে মামলার মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য বলেছিলাম। তারা বিষয়টিতে সম্মত হয়েছে। নির্বাচনি ব্যবস্থায় আচরণ বিধি ও ব্যয়ের বিষয়েও পরবির্তন আনার জন্য বলেছি। তারা দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন। নুতন বাংলাদেশে পুরাতন যে আচরণ বিধি রয়েছে- মানুষের ওপর মারধর, বাধা প্রদানের মাধ্যমে ভোট লোপাট, টাকা, অস্ত্রের ঝনঝনানি, পাওয়ার, মাসলের প্রদর্শন যেটা চলে আসছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ র্যাংকিংয়ে সবার ওপরে রয়েছে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার বিষয়ে। এজন্য পুরোনো সিস্টেমের আচরণ বিধি, নির্বাচনি ব্যয়ের যে সিস্টেম রয়েছে, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সিস্টেম, সেখান থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমরা বলেছি। ঋণ খেলাপিদের জন্য নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়া হয়। তিন মাস আগেই যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। হলফনামায় অসত্য তথ্য দিয়ে যে ব্যবস্থা চলে আসছিল, আমরা বলেছি হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে নির্বাচন বাতিল ও সংসদে যেন শপথ না নিতে পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়া হয় নাই। এখন পর্যন্ত কোনো ভালো পদ্ধতি পায়নি কমিশন। প্রবাসীদের ভোটাধিকার যদি নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আমরা নবীনতম দল। ১৫ বছরের অনেক দল যারা ইসিতে কাগজ জমা দিয়েও নিবন্ধন পায়নি, এখন সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। আমরা এনসিপি ও অন্যান্য দলকে সুযোগ দেওয়ার জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করেছি। তারা বিবেচনাধীন রেখেছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের যে সংস্কৃতি রয়েছে, এই সংস্কৃতির মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র নেই, দলগুলো ভালো মানুষকে প্রার্থী দেয় না। খারাপ সংস্কৃতির মধ্যে নির্বাচনি ব্যবস্থার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। তাই আমরা বলেছি দলগুলোকেও যে আচরণবিধির মধ্যে নিয়ে আসতে পারে, তাদের অভ্যন্তরীণ যেন গণতন্ত্র ঠিক থাকে, নতুন একটা সংস্কৃতির দিকে যেন যাত্রা শুরু করতে পারে, আমরা সে দাবী জানিয়েছি। আমরা দেখেছি, নামে বেনামে ১৫ বছরে অনেক দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। একই নামে অনেক দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। অনেক দলের অফিসও নেই তাদেরও নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। তাই নিবন্ধন নবায়নের কথা বরেছি। তারা এ বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী আরও বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদেনর প্রতিটি পাতা ওয়ার্ড ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড অনুসরণ করে নির্বাচনে যেতে হবে। পুরনো সিস্টেমে ধর তক্তা, মার পেরেক; যখন ইচ্ছা তখন দ্রুত সময়ের মধ্যে একটা নির্বাচন করার সুযোগ আর ছাত্র সমাজ দেবে না। এজন্য একটি সুন্দর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। প্রক্যেকটি ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড, প্রত্যেকটি লাইন বাই লাইন, যে প্রস্তাব সংস্কার কমিশন থেকে এসেছে সেগুলো নিয়ম নীতির মধ্যে দিয়ে প্রায়োগিক আকারে নিয়ে এসে নতুন বাংলাদেশে নির্বাচনের যাত্রা সুচনা করতে হবে। কমিশন বলেছেন (ঐকমত্য কমিশন/সরকার) তারা সেখানে যোগযোগ রেখেছেন। তারা সময় স্বল্পতার কথাও বলেছেন। আমারা বলেছি এইগুলো যদি বাস্তবায়ন না হয়, নতুন বাংলাদেশের জন্য কঠিন হয়ে যাবে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা। আমরা আগের সিস্টেমে যেতে চাই না। আমরা মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই।
মৌলিক সংস্কারের আলোকে নির্বাচন কমিশনের সংস্কার চেয়েছেন, তাহলে এই কমিশনের প্রতি আস্থা আছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন থেকে আমরা যে কথাগুলো শুনতে পাই, সেগুলো আমরা এখনো প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে শুনিনি। রোডপম্যাপের কথা আমরা শুনিনি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে এসেছে। এজন্য আমরা বলতে চাই, নির্বাচন কমিশন কথা বলার সময় নিজেদের জায়গা থেকে সতর্ক থাকবে। প্রধান উপদেষ্টা যে কথা বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন, সে অনুসারে তারা কাজ শুরু করতে পারে, কিন্তু রোডম্যাপ বা সরকার থেকে কোনো নির্দেশনার আসার আগেই তারা যদি নিজেদের ভেতর থেকে কথা বলে থাকেন, সেটা নিয়ে আমরা সন্দেহ পোষণ করি। আমরা বলেছি ২০২২ সালের যে নিয়ম নীতিগুলো ছিল সেটা নিয়ে বিএনপিও বিরোধীতা করেছিল। সেই নিয়মের অধীনে নির্বাচন না হয়ে একটা সংস্কারের মাধ্যমে যেন নির্বাচন হয়। গত ১৭ এপ্রিল আমরা ইসিতে যে চিঠি দিয়েছি, এতে সংস্কারের বিষয়টি ফোকাস করেছিলাম, যেন তারা সেদিকে ধাবিত হয়।
নির্বাচনের সময় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা, নাসির কমিশনের প্রতি আস্থা আছে কিনা, এই কমিশনের পরিবর্তন চাচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের বিরোধিতা করি। আমরা সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন চাই। সেখানে ঐকমত্য কমিশন যদি সম্মত হয়, তারা যদি এ বিষয়ে যদি ব্যবস্থা নেয়, এটা সরকারের একটা সিদ্ধান্ত। যারা কমিশনার রয়েছে, তারা নয়। আমরা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান আকারে দেখি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঐকমত্য কমিশন থেকে যদি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত আসে সে বিষয়ে আমরা দেখবো। যদি না হয় নির্বাচনের আগে তখন আমরা পরবর্তীতে কমেন্ট করবো।
নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের ৩২টি ধারায় বিরোধিতা করেছে, বিষয়টি উত্থাপন করা হলে এনসিপি নেতা নাসির বলেন, ঐকমত্য কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত হবে। আমাদের সঙ্গেও ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আমাদের প্রস্তাব দিয়েছি। সেখানে নারী ভোটার নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ফাইনাল হওয়ার পরে যেন বাস্তবায়ন হয়, সে বিষয়টা আমরা ফোকাস করছি।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে যদি কমিশন তফসিল ঘোষণা করে তাহলে আপনাদের অবস্থান কী হবে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনি সংস্কার অতী জরুরি। বর্তমান প্রক্রিয়ায় ঐকমত্য কমিশন থেকে আসার সিদ্ধান্তের আলোকে যদি নির্বাচন হয়, আমরা আশা করি যে একটা সুন্দর নির্বাচন হবে। বর্তমান ব্যবস্থায় অনেকগুলো বিষয়ে সংস্কার জরুরি। কমিশনও অনেক সংস্কারের জন্য একমত পোষণ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের নিত্যকার কাজ তো করতে পারে। যখন নির্বাচনের ফুল প্রস্তুতির দিকে যাবে, সেটা ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে হওয়া উচিত। সিইসি এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। এখন কমিশন যদি সেটা না করেন তাহলে তো আমরা আস্থা রাখতে পারবো না। কারণ, বর্তমান যে প্রক্রিয়া রয়েছে এর মধ্যে দিয়ে গত ১৫ বছরে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে। তাই এই প্রক্রিয়ার প্রতি তো আমরা আস্থা রাখতে পারি না। নির্বাচন যদি করতে হয় সুন্দর একটা সিস্টেমের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কমিশন অলরেডি কাজ শুরু করেছে।
কমিশন গঠনের মধ্যে কী ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ২০২২ সালের যে আইনটা হয়েছে, এই আইনটিই অবৈধ। সেই আইনেই কমিশন গঠন হয়েছে। আমরা এটার বিরোধীতা করি। ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্ট ভিত্তিতে উনারা যদি থাকতে পারে, তাহলে থাকবে। অন্যথায় থাকবে না।
নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা যে টাইম ফ্রেম দিয়েছেন, এর মধ্যে সংস্কার করে কী নির্বাচন করা সম্ভব- এই প্রশ্নের জবাবে নাসির বলেন, নির্বাচন কমিশনের যে সংস্কার রয়েছে, সে সংস্কার এই টাইম ফ্রেমের মধ্যে আমরা মনে করি করা সম্ভব। দল নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি সুন্দরভাবে সবকিছু গুছিয়ে দেওয়ার জন্য। রমজান, ঈদ গেছে। আমাদের ভেতর যেন কেউ ফ্যাসিবাদের না থাকতে পারে সেগুলো যাচাই করছি, অফিস নেওয়ার বিষয় রয়েছে, জণগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয় ইত্যাদির জন্য আমাদের একটু সময় প্রয়োজন।
ইসির সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এটাই ছিল প্রথম বৈঠক। মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে বৈঠকে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনূভা জাবীন ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
ইইউডি/এমজে