ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭ মহররম ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

‘শাপলা’ প্রতীকের জোর দাবি নিয়ে ফের ইসিতে নাগরিক ঐক্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫৬, জুলাই ২, ২০২৫
‘শাপলা’ প্রতীকের জোর দাবি নিয়ে ফের ইসিতে নাগরিক ঐক্য

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জাতীয় ফুল ‘শাপলা’ প্রতীক পেতে যাচ্ছে এমন আশঙ্কা করছে মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন দল নাগরিক ঐক্য। তাই নিজেদের জন্য শাপলা প্রতীকের জোর দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়েছে দলটি।

 

নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ফুল শাপলাকে প্রতীক হিসেবে তফসিলভুক্ত করার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে এনসিপি’র আগে শাপলা প্রতীকে চেয়ে আবেদন করায় নাগরিক ঐক্যই এটি পাওয়ার অধিকার রাখে, এমন প্রত্যাশাও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনকে জানিয়েছে নাগরিক ঐক্য।

বুধবার (২ জুলাই) সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার। তিনি বলেন, নির্বাচনসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য এসেছিলাম। তবে প্রধান আলোচনা ছিল প্রতীক পরিবর্তনের বিষয়ে।  

নাগরিক ঐক্যের এই নেতা জানান, গত ১৭ জুন তারা দলীয় প্রতীক কেটলি যেটা আছে সেটা পরিবর্তন করে শাপলা বা দোয়েল চেয়ে আবেদন করেছেন। ২০১৮ সালেও তারা আবেদন করেছিলেন। ২০২৪ সালেও নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিলেন। তখন শর্ট লিস্টে যে দলগুলো ছিল তার মধ্যে নাগরিক ঐক্যও ছিল।  

সাকিব আনোয়ার বলেন, মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন দলকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার নিবন্ধন দেবে না সেটা আমরা জানতাম। তখন এমন কিছু দল, নাম সর্বস্ব যাদের কার্যালয় নাই এমন দলকেও নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। আমরা যে প্রতীক চেয়েছিলাম তখন অন্য দলগুলোকে দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। তাই যখন আমরা নিবন্ধন পাই তখন আমাদের পছন্দের প্রতীক পাইনি, কারণ অন্যদের সেগুলো দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। এজন্য আমরা পরবর্তীতে শাপলা এবং দোয়েল দেওয়ার জন্য আবেদন করি।

তিনি বলেন, আমাদের কনসার্নের জায়গা হচ্ছে ১৪৭টি দল নতুন করে আবেদন করেছে নিবন্ধনের জন্য। এর মধ্যে একটা দল (এনসিপি) নিবন্ধনের আবেদন করেছে, তারাও শাপলা চেয়েছে। মূল ধারার গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি, কমিশন তাদের এটি দিয়ে ফেলেছে, এমন ইঙ্গিত দিয়ে খবর হয়েছে। আমাদের কনসার্ন হলো, যেহেতু দল নিবন্ধন এখনো হয়নি, এভাবে খবর আসাটা ঠিক হয়নি।

নাগরিক ঐক্যের এ নেতা আরও বলেন, নিবন্ধন দেওয়ার প্রসেসেটা কঠিন। তার আগে প্রতীক নতুন করে যুক্ত হবে। ১১৫টা প্রতীক গেজেটভুক্ত করা হচ্ছে। আজকে জানতে পেরেছি আরও যুক্ত করার চিন্তা চলছে। শাপলা যদি নতুন গেজেটভুক্ত হয়, আমরা যেহেতু ১৭ তারিখের আবেদন করেছি সেহেতু এ প্রতীক আমাদেরই প্রাপ্য। নতুন বাংলাদেশে সরকারি দল বলে কিছু নেই। আমরা সেটা প্রত্যাশাও করি না। কমিশন নিশ্চয়ই সেভাবে বিবেচনা করবেন। তবে কারো কারো পক্ষ থেকে এমনভাবে প্রচার হয়েছে, যে তাদের প্রতীকটা দেওয়া হয়েছে। আমরা এটাই কনসার্নে নিয়ে কমিশনকে জানাতে চেয়েছি।

সাকিব আনোয়ার বলেন, আমরা যখন আবেদন করি তখন ৬৯টা প্রতীক ছিল। তখন সরকারের পছন্দ অনুযায়ী যে সকল দল নিবন্ধন পেয়েছিল তারা তাদের পছন্দ মোতাবেক প্রতীক পেয়েছে। পরবর্তীতে আমরা যখন নিবন্ধন পেয়েছি তখন আমাদের পছন্দের অনুযায়ী প্রতীক পাইনি। গণমাধ্যমে যখন দেখেছি প্রতীকের সংখ্যা বাড়ানো হবে, তখন আমরা আবেদন করে শাপলা চেয়েছি। তখন তারা (ইসি) বলেছিল, এখানে মৌখিকভাবে একটা কথা বলেছিল যে শাপলা যেহেতু জাতীয় প্রতীক…। তখন আমরা বলেছিলাম, শাপলা কেবল জাতীয় প্রতীক নয়, তাই এটা কোনো দল প্রতীক হিসেবে পেতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চাই যে দল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তারা (এনসিপি) নিবন্ধন পাক। কিন্তু সেই নিবন্ধন হয়ে গেছে তা নয়, এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি কে নিবন্ধন পাবে কে পাবে না। প্রতীকের সংখ্যা বাড়লে আমরা অবশ্যই প্রত্যাশা করি, শাপলা আমরা পাব। কারণ, গত ১৭ জুন আমরা আবেদন করেছি এবং এনসিপি ২২ জুন আবেদন করেছে, এটা দেখতে হবে। আগে আবেদন করার বিষয়টি এবং ইতিমধ্যে নিবন্ধিত, এই হিসেবে আমাদের আবেদন বিবেচনা করা হবে বলে প্রত্যাশা করি।  

এসময় নাগরিক ঐক্যের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌসি আক্তার এবং দপ্তর সম্পাদক মুহিদুজ্জামান মুহিত উপস্থিত ছিলেন।

ইইউডি/এমইউএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।