ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

বিএনপি-এনসিপি মারামারি, পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছি: ইসি সচিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩২, আগস্ট ২৭, ২০২৫
বিএনপি-এনসিপি মারামারি, পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছি: ইসি সচিব

সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে শুনানিতে বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানা ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

বুধবার (২৭ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

প্রথম দিনের শুনানিতে যে মারামারি হয়েছে, অনেকে বলছেন আগামী নির্বাচনে কী পরিস্থিতি হবে—এমন প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব বলেন, এটা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। না হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় ছিল এবং কাম্য ছিল। এটাও আমাদের জন্য একটা শিক্ষা, অনেক কিছুই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সামনে এসে পড়ে। জীবনে এটা একটা অংশ। কিন্তু এটা না হওয়াটাই ভালো ছিল এবং এটা আমাদের জন্য, সবার জন্য একটি দুঃখজনক ঘটনা।

মারামারির যে ঘটনা, কমিশনের সামনে ঘটেছে, ভোটকেন্দ্রে তাহলে কী হতে পারে? এই ঘটনার পর কারও বিরুদ্ধে আপনাদের ব্যবস্থা দেখলাম না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, এটার সঙ্গে সরাসরি নির্বাচন কমিশন সম্পর্কিত না। আপনি যদি এখন আমার সঙ্গে বাইরে ধাক্কাধাক্কি করেন কোনো একটা কারণে, সেখানে তো সংস্থার দায় বা সংস্থাকে দায়ী করা যায় না। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে একটা সাধারণ ডায়েরি করেছি, যেখানে আমরা পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছি। পুলিশকে বলেছি, আপনারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

এনআইডি সার্ভারে অনিয়মের কারণে আইটি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটির কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট জব্দ করার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, আমার কানে খবর এসেছে- আমরা নাকি কাউকে পাসপোর্ট জব্দ করার কথা বলেছি। আসলে পাসপোর্ট জব্দ করার এখতিয়ার আমাদের নেই এবং আমরা এটা করিনি।

গত ২৪ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানিতে অংশ নেওয়া বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে রুমিন ফারহানা তাকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ফলে তার কর্মীরাও পাল্টা জবাব দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন ওইদিন।

পরে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আতাউল্লাহ তাকে মারধর করা হয়েছে বলে ইসি সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি বলেন, যদি এ ঘটনার বিচার না হয় তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে।  

মঙ্গলবার রাতে ইসি সচিব জানিয়েছিলেন, মারামারির ঘটনায় শেরে বাংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এতে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।  

ইইউডি/এমইউএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।