ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আ'লীগের ব্যাংকে জমা সাড়ে ২৫ কোটি টাকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
আ'লীগের ব্যাংকে জমা সাড়ে ২৫ কোটি টাকা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল, ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আয়, ব্যয়ের তুলনায় এবারও বেশি। গত কয়েক বছর ধরেই দলটির অর্থনৈতিক কার্যক্রমে এ ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। ফলে ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিটের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৪৪১ টাকা।

সোমবার (৩১ জুলাই) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০১৬ পঞ্জিকা বছরে দলটির জমা দেওয়া আয়-ব্যয়ের হিসাব থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার কাছে হিসাব জমা দেয়।

দাখিল করা হিসাব থেকে দেখা যায়, ২০১৬ সালে দলটির আয় ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা। আর ব্যয় ৩ কোটি ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। উদ্বৃত্ত ১ কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৯ টাকা। ব্যাংকে মোট জমা আছে ২৫ কোটি ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৪৪১ টাকা। মোট জমা টাকার মধ্যে পূর্বের জমা করা টাকার সুদ রয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯৬ টাকা।

সিইসির কাছে হিসাব জমা দেওয়ার পর আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে অডিট ফার্মের মাধ্যমে দলগুলো আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়। আমাদের এখানে নির্বাচন কমিশন এ কাজটি করছে। সেজন্য আজ শেষদিনে হিসাব দাখিল করেছি।

তিনি বলেন, যে টাকা আয় হয়েছে তা দলের প্রাথমিক সদস্য ফি, নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত সুদ থেকে এসেছে।

ব্যয় হয়েছে কর্মচারীদের বেতন, বোনাস, আপ্যায়ন, সভা-সেমিনার, অফিস ব্যয়, উত্তরণ-পত্রিকা প্রকাশ, ত্রাণ কার্যক্রম, বিভাগীয় ও জেলা জনসভা, সহযোগী সংগঠন অনুষ্ঠান, সাংগঠনিক ব্যয় এবং অন্যান্য খাতে।

ক্ষমতাসীন দলটি বিগত তিন বছরেই উদ্বৃত্ত দেখিয়েছে।

আওয়ামী লীগ ২০১৬ সালে নির্বাচন কমিশনে ২০১৫ সালের আয়-ব্যয়ের যে হিসাব দাখিল করে সেখানে দলটি আয় দেখায় ৭ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ টাকা। ব্যয় ছিল ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯ টাকা। অর্থাৎ সেসময় দলটি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত দেখিয়েছে।

২০১৫ সালের হিসাবে ২০১৪ সালে দলটি আয় দেখিয়েছে ৯ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৩ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৮২১ টাকা। এতে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল আওয়ামী লীগের।

আর ২০১৪ সালের হিসাবে ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ আয় দেখিয়েছিল ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ব্যয় ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এতে প্রায় ৬ কোটি টাকার দলটির উদ্বৃত্ত ছিল।

বিএনপি
২০১৬ সালে বিএনপির ২০১৫ সালের দাখিল করা আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত তিন পঞ্জিকা বছরে দলটির আয় বাড়েনি। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপি ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতিতে ছিল। কেননা, দলটি সে বছর আয় দেখিয়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ টাকা। ব্যয় দেখিয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা।

২০১৪ সালে (পঞ্জিকা বছর) দলটি বিভিন্ন খাতে দুই কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৪ টাকা আয় দেখিয়েছে। ব্যয় দেখিয়েছে তিন কোটি ৫৩ লাখ তিন হাজার টাকা। এতে আয়ের চেয়ে ৬৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৬ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে দলটির।

২০১৩ সালে (পঞ্জিকা বছর) দলটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টাকা আয়ের বিপরীতে ২ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকা ব্যয় দেখিয়েছিল। সেসময় ঘাটতি ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা।

অন্যদিকে ২০১৬ সালে বড় দুইদল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের আয় চার গুণেরও বেশি ছিল।

এবার এখনও বিএনপি হিসাব জমা দেয়নি। সোমবারই হিসাব জমা দেওয়ার শেষ দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
ইইউডি/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।