২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পচিয়পত্র (এনআইডি) কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকেই দ্বৈত ভোটার না হওয়ার প্রচারণা চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এটা স্বচ্ছ, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও এনআইডি তথ্য ভাণ্ডার সমৃদ্ধকরণের অন্তরায়।
নির্বাচন কমিশনের নানামুখী প্রচারণার পরও বন্ধ হচ্ছে না দ্বৈত ভোটার বা দু’বার ভোটার হওয়ার প্রবণতা। তাই এবার আইনের কঠোর প্রয়োগের দিকেই এগোলো সংস্থাটি। এখন থেকে যার বিরুদ্ধেই দু’বার ভোটার হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হবে।
ইসি সূত্র জানায়, সম্প্রতি রংপুর জেলার পরীগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দু’বার ভোটার হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। একই ব্যক্তির দু’টি এনআইডির সন্ধান পায় নির্বাচন কমিশন। যার একটি এনআইডি নম্বর-১৯৮০৮৫১৭৬৮২০০০০১৭ এবং অন্য এনআইডি নম্বর-১৯৮০৮৫১৭৬৮২৫৯৪৭৩৬। যেহেতু এই দু’টি এনআইডি একজন ব্যক্তির, তাই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সংস্থাটির নির্বাচন সহায়তা শাখা-২ এর সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মামলা দায়ের করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্যও বলা হয়েছে।
ভোটার আইন-২০০৯ এর ১৮ ধারা অনুযায়ী- তথ্য গোপন করে দু’বার ভোটার হওয়ার অপরাধে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে আইনে এ অপরাধের জন্য ছয়মাসের কারাদণ্ড বা দুই হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
দেশে বর্তমানে ১০ কোটি ১৭ লাখ ভোটার রয়েছে। চলমান হালনাগাদ কার্যক্রমে ৩৫ লাখ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন করেছেন। যাদের ছবি তুলে ভোটার করার কাজ প্রক্রিয়াধীন।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এতোদিন কিছু বলা হয়নি। কিন্তু এখন সময় এসেছে। আইন অনুযায়ী দু’বার ভোটার হওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই এখন থেকে কেউ দু’বার ভোটার হলে বা হওয়ার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
ইইউডি/এএ