ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ইসি-এনআইডি অনুবিভাগ মুখোমুখি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
ইসি-এনআইডি অনুবিভাগ মুখোমুখি নির্বাচন কমিশন (ইসি)

ঢাকা: উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড সরবরাহে প্রস্তাবিত নতুন প্রকল্প নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিস্ফোরণের আকার ধারণ করছে। যেকোনো ধরনের কার্যক্রম থেকে সরে গিয়ে টানা আন্দোলনে যেতে পারেন তারা।

জানা গেছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে স্মার্টকার্ড সরবরাহে ‘আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ)’ প্রকল্পটি। তাই নতুন প্রকল্পটি নেওয়ার প্রস্তাব করেছে ইসি’র এনআইডি অনুবিভাগ।

‘ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং জাতীয় পরিচিতি সেবা প্রদানে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক ওই নতুন প্রকল্পটি বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিতে রয়েছে, যেখানে আইডিইএ প্রকল্পের কর্মকর্তাদের রাজস্ব খাতে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এটি করা হলে প্রকল্পটির কর্মকর্তারা দশম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে পদায়ন পাবেন। আর এতে জুনিয়র হয়ে যাবেন ২০০৫ সালে ইসিতে নিয়োগ পাওয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী সচিবরা।

মূলত এ আশঙ্কা থেকেই ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ইসির কর্মকর্তাদের প্রধান প্রধান দাবি।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কর্মবিরতির ডাক দিয়ে ইসি’র অতিরিক্ত সচিব, আইডিইএ’র প্রকল্প পরিচালক ও এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কিন্তু বিষয়টির কোনো সুরাহা না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর দুপুরে নির্বাচন কমিশনে ৠাবের উপস্থিতি দেখা যায়। এনআইডি অনুবিভাগ থেকে এনআইডি সার্ভার প্রায় ঘন্টাখানে বন্ধ রাখারও অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ইসি’র কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ আরো বেড়ে যায়।
 
সন্ধ্যায় বিষয়গুলো নিয়ে করণীয় নির্ধারণে ইসি’র সভাকক্ষে বৈঠক করেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে তারা একমত হন যে, আগামী রোববার (০১ অক্টোবর) পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত রেখে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালানো হবে। দাবি আদায়ের কোনো ব্যবস্থা না হলে এনআইডি’র মহাপরিচালকের অপসারণ চেয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাকে পদায়নে আন্দোলন ও অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কর্মসূচিতে যাবেন তারা।
 
তাদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচন কমিশনের সাংগঠনিক কাঠামোর সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়ন, আইডিইএ প্রকল্পে কর্মরতদের রাজস্ব খাতে এনে দশম গ্রেড থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে পদায়ন না করা ইত্যাদি।
 
ইসি’র অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হয়তো ভুল বুঝছেন। সরকারের প্রজ্ঞাপনেই আছে যে, প্রকল্পের কর্মকর্তাদের রাজস্ব খাতে আপাতত নেওয়া হবে না। আর যে নতুন প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে, তা পাঁচ বছরের জন্য। এতে আরো প্রায় ছয় বছর লেগে যাবে প্রকল্পটি শেষ হতে। তখন যদি সরকার রাজস্ব খাতে প্রকল্প থেকে নেয়, তবেই না তারা যেতে পারবেন’।

‘ইসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এসেছিল আমার কাছে। এসব নিয়ে কথা হয়েছে। আর এ নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়নি। কাজেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৠাবকেও ডাকা হয়নি। তারা এসেছিলেন কি-না- আমার জানা নেই’।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
ইইউডি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।