ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনা মোতায়েনের সুপারিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৭
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনা মোতায়েনের সুপারিশ

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে সংসদ বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সুপারিশ এসেছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ইসির সংঙ্গে সংলাপে বসে এসব সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।

এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়েরের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।

এ সময় বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়েছে দলটি। এক্ষেত্রে তারা ভোটগ্রহণের তিন মাস আগে বর্তমান সংসদ বিলুপ্তকরণ এবং নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের সুপারিশ করেছে।

দলটির পক্ষে থেকে ২৪ দফা লিখিত সুপারিশ করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসিতে নিবন্ধিত প্রত্যেকটি দলের একজন প্রতিনিধি নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, কাস্টিং ভোটের পরিমাণ ৫০ শতাংশের কম হলে আবার নির্বাচনের ব্যবস্থা, ইভিএম ব্যবহার না করা, প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো, না ভোটের ব্যবস্থা না রাখা, জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও দলের নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক করা, দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেয়া, রিটানিং কর্মকর্তাদের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের পরিবর্তে অতিরিক্ত জেলা জজদের দেয়া।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এবং বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। দলের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।

দলটির পক্ষে থেকে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বিলুপ্ত করা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীর নামে গেজেট প্রকাশ না করে পুনরায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, নাস্তিক, দুর্নীতিবাজ, দেশদ্রোহী, কালো টাকার মালিক, ঋণখেলাপীর সঙ্গে জড়িত পরিবারবর্গ, ইসলাম বিদ্বেষীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, দলের সকল পর্যায়ে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার বিধান বাতিল করা ও ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভির ব্যবস্থা করার সুপারিশ করে দলটি।

এছাড়া মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনকে নতজানু না হওয়া, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো ইসির অধীন আনা, ইভিএম ব্যবহার না করা, নির্বাচন সংক্রান্ত সব আইন বাংলায় করা, প্রার্থীদের জামানত ১০ হাজার টাকার মধ্যে রাখা, নির্বাচনী ব্যয় ১০ লাখ টাকার মধ্যে আনা, সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও লাইসেন্সকৃত সকল অস্ত্র জমা নেয়া, প্রবাসীদের ভোটাধিকারের ব্যবস্থা করার দাবি জানায় দলটি।

গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।

সংলাপে আসা সুপারিশগুলোর মধ্যে সেনা মোতায়েন, না ভোটের প্রবর্তন, প্রবাসে ভোটারধিকার প্রয়োগ, জাতীয় পরিষদ গঠন, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন,নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার,নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া,রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখান বিধান তুলে নেওয়া ইত্যাদি অন্যতম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৭
ইইউডি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।