ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র সাধারণত স্কুল, কলেজেই স্থাপন করা হয়। তবে স্কুল-কলেজ ছাড়াও অনেক সময় অন্যসব স্থাপনায়ও কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
এরই মধ্যে ইসি নির্বাচন সহায়তা শাখা-১ এর সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম সকল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।
এতে উল্রেখ করা হয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সকল নির্বাচনে স্কুল ও কলেজ বাদে অন্য কোনো স্থাপনায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব করা হলে এর পক্ষে যৌক্তিকতাও তুলে ধরতে হবে। এছাড়া প্রস্তাবিত স্থাপনাগুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন মর্মেও প্রত্যয়ন করতে হবে।
২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া এর আগেই রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
এছাড়াও সম্পন্ন করতে হবে কয়েকশত স্থানীয় নির্বাচন। আবার সংসদ নির্বাচনের পরেই অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন। সব মিলিয়ে এক হাজারের মত নির্বাচন রয়েছে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ।
কেবল জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যই প্রয়োজন ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রের। তাই এ বিষয়টিকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্র স্থাপনে সতর্ক ও সাবধানী অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের সময় ১৯ হাজার ভোটকেন্দ্র ভোটগ্রহণের উপযোগী ছিল না। কেননা, এগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। পরে এগুলোতে জেনারেটরের ব্যবস্থা করে ভোটগ্রহণ করা হয়। এছাড়া অনেক ভোটকেন্দ্র দুর্গম এলাকায়। অনেক কেন্দ্র আবার ভাঙাচোরা অবস্থায়ও থাকে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য এমন কেন্দ্র ও স্থাপনা মোটেই অনুকূল নয়। বরং সুষ্ঠুভাবে ও নিরাপদে ভোটগ্রহণের পথে এগুলো বড় অন্তরায় হয়ে দেখা দেয়। তাই ভোটকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সতকর্তা অবলম্বন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
কর্মকর্তাদের মতে, সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ ছাড়াও প্রচুর সংখ্যক কেন্দ্র স্থাপন করতে হয় অন্যসব স্থাপনায়। কাজেই তা পরিদর্শন করেই ভোটকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব করা উচিত। সেটাই এবার করা হবে গুরুত্বের সঙ্গে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৭
ইইউডি/জেএম