একদিন বাদেই রংপুর সিটি নির্বাচনের আগে শেষ দিনের প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন মেয়র প্রার্থীরা। দিয়েছেন শোডাউন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে শহরে বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন দিতে দেখা গেছে মেয়র প্রার্থী ঝণ্টুকে। শোডাউনে লাল রঙের একটি গাড়িতে ছিলেন তিনি। প্রায় একই সময়ে শাপলা চত্বরে শোডাউন করতে এসেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। দুই প্রার্থীর শোডাউনে ছিল বহু সংখ্যক মোটরসাইকেল।
আর ওই সময়ে শাপলা চত্বরে বাসদ-সিপিবির প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস একটি পিকআপে করে নিজে এসেছিলেন, সঙ্গে ছিলেন তার কর্মীরা।
বড় বড় দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি সিটির মেয়র পদে অন্য প্রার্থীরাও নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালিয়েছেন। প্রচারণায় পাড়ায় পাড়ায় সক্রিয় ছিলেন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরাও।
আর প্রার্থীদের সরব প্রচারণা দেখে শেষ সময়ে নানা সমীকরণ মেলাচ্ছেন ভোটাররা। দল ক্ষমতায় থাকলেও ঝণ্টুর ব্যক্তিগত ব্যবহারের কারণে ক্ষোভ দেখিয়েছেন অনেক ভোটার। মেয়র থাকার সময়ে কোনো কাজে গেলে ব্যবহারে নিরাশ হয়ে ফিরে এসেছেন সেই সাধারণ ভোটাররা ক্ষোভ থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে বেছে নেবেন বলে জানান।
নগরের প্রাণকেন্দ্র জাহাজ কোম্পানির মোড়ে একটি বিপণীবিতানে বসে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভোটের হিসাব মেলাচ্ছিলেন কয়েকজন ভোটার। তাদের গণনায় ঝণ্টু এবার জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হবেন। ‘রংপুরের মাটি এরশাদ-লাঙ্গলের ঘাঁটি’- এই সূত্রেই জাতীয় পার্টি থেকে এবার মেয়র হবেন বলে জোর আলোচনা। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকবে বিএনপির প্রার্থী।
অন্যদিকে, ভোটারদের আরেক হিসেবে বিএনপির প্রার্থী জামায়াতের নিরব ভোটগুলো টানবেন, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে চলে আসতে পারে ধানের শীষ। তার সঙ্গে যোগ হবে বিহারিদের ২০-২৫ হাজার ভোট। এ নিয়ে একটা ভালো অবস্থানে আসবেন বিএনপির বাবলা।
তবে মেয়র থাকাকালীন নগরীর রাস্তা প্রশস্তকরণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন উন্নয়নকে পুঁজি করে আবারও ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছেন ঝণ্টু। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে ক্ষমতাসীন দলীয় প্রার্থী প্রয়োজন- বলেই প্রচার-প্রচারণা চলছে তার পক্ষে। তাই শেষ বেলায় এসে সাধারণ ভোটারদের বিশ্লেষণ উল্টেও যেতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ক্ষমতাসীন থাকায় দলের অনেক ভোটারই সেদিন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঝণ্টুকে ভোট দেবে। আর সেই হিসেবে পাল্টে যেতে পারে হিসেব।
এসব সমীকরণ যদি বাদ দেওয়া হয়, ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২১ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ শেষে গণনা পর্যন্ত...।
ইমেজ ফ্যাক্টরে পড়েছেন ঝণ্টু-বাবলা, প্রতীকে মোস্তফা
‘বাহে, হামরা জানি জেতপে কায়’
রসিক নির্বাচনে লাঙ্গলের জয় হবেই
‘কেন্দ্রে পাহারা বসাবেন যেন ভোট চুরি না হয়’
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
এমআইএইচ/আইএ