ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ডিএনসিসি’র মেয়র নির্বাচনে ‘সুবিধাজনক’ সময়ের খোঁজে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
ডিএনসিসি’র মেয়র নির্বাচনে ‘সুবিধাজনক’ সময়ের খোঁজে ইসি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও নির্বাচন ভবন

ঢাকা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা থাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদের শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনের একটি ‘সুবিধাজনক’ সময় খুঁজছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যে কারণে আগামী বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সংস্থাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে। এতে ঢাকার দুই সিটির বর্ধিত ওয়ার্ডগুলোর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণেও আলোচনা হবে।
 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) নতুন ৩৬টি ওয়ার্ড গঠন করে এরইমধ্যে সেগুলোর নির্বাচন দেওয়ার জন্য ইসিকে অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
 
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী সচিব রাজীব আহসান জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ১০টায় বৈঠক ডাকা হয়েছে।

এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা’র চেয়ারম্যান, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
 
সম্প্রতি ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রয়াত মেয়ার আনিসুল হকের আসনটির শূন্য ঘোষণা হওয়ায় উপ-নির্বাচন করা হবে ফেব্রুয়ারির শেষে। তফসিল দেওয়া হবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। একইদিন ঢাকার দুই সিটির নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডে এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডেও নির্বাচন করা হবে।
 
ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে। নির্বাচনের কারণে যাতে শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা না হয়, সে বিষয়টিই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য এমন একটি সময় বিবেচনা করা হচ্ছে, যাতে নির্বাচন কমিশন, শিক্ষার্থী এবং প্রার্থী সবাই সুবিধাজনক অবস্থানে থাকেন।
 
ইসি কর্মকর্তারা মনে করছেন, সবার সুবিধার কথা বিবেচনায় নিলে আগামী ১১ জানুয়ারির মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আর নির্বাচন করতে হবে ফেব্রুয়ারির একেবারে শেষে। কেননা ১ ডিসেম্বর আনিসুল হকের আসনটি শূন্য ঘোষণা হওয়ায় এ আসনে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর এসএসসি’র লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। ২৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। এক্ষেত্রে ২৪ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে ভোটগ্রহণের জন্য সুবিধাজনক সময় মনে করছেন তারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।