ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএম কেন্দ্র: আ'লীগ ৭৭৭, বিএনপি ৭১০ ভোট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
ইভিএম কেন্দ্র: আ'লীগ ৭৭৭, বিএনপি ৭১০ ভোট ভোট নেওয়া শেষে চলছে গণনা/ছবি: মানজারুল ইসলাম

খুলনা: খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু'টি কেন্দ্রেরই ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

নগরীর পিটিআই জসিম উদ্দিন হোস্টেলের নীচতলা ইভিএম কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ৫০৫ এবং বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ৫১১ ভোট।

অপর ২৪ নং ওয়ার্ডের সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ২৭২ এবং বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১৯৯ ভোট।



খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে দু'টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হয়। দুটি কেন্দ্রের মোট ফলাফলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ৭৭৭ ভোট এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী পেয়েছেন ৭১০ ভোট।

কেসিসি নির্বাচনের মোট ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে অনিয়মের অভিযোগে দু'টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

দিনভর কয়েকটি কেন্দ্রে নানা কেন্দ্র দখল অনিয়ম, অভিযোগ, ব্যালট পেপারে জোরপূর্বক সিল মারার ঘটনা ঘটেছে। আবার সুষ্ঠ ভোটও হয়েছে অনেক কেন্দ্রে। খুলনা আ’লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, ভোট ভালো হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী বলেন, অন্তত ৪০টি কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে।

জাল ভোটের অভিযোগে একটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল, দুটি কেন্দ্র এবং এবং একটি বুথে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এর বাইরে একটি কেন্দ্রের অদূরে বিএনপির নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়েছে।

২৪ নং ওয়ার্ডের সরকারি ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করে দেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। নৌকা প্রতীকে সিল মারার ঘটনায় এছাড়া রূপসা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও রূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ভোট স্থগিত হয়।

জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে চারটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দুপুরে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লবণচোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা মার্কায় সিল মারার অভিযোগে কেন্দ্রটিতে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে।

২২ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতিমা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি বুথে স্থগিত করা হয় ভোট। সেখানেও নৌকা মার্কায় সিল মারা হচ্ছিল ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আব্দুল মালেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রেও জাল ভোট দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

কলেজিয়াট স্কুলে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনার ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। অভিযোগ উঠেছে ২৫ নং ওয়ার্ডের এতিমখানা মোড়ের নূরানি মাদ্রাসায় ভোটারদের হাতে কালি দিয়ে নিজেরাই ভোট দিয়েছে সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী বলেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এমআরএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।