ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘এই নিয়ে চাইর বার ভুট দিলাম, ফাইলাম না কিচ্ছু’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
‘এই নিয়ে চাইর বার ভুট দিলাম, ফাইলাম না কিচ্ছু’ নির্মাণ শ্রমিক ডেন্ডু মিয়া। ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট থেকে: দুঃখের খতা (কথা) কিতা (কি) খইতাম (বলবো) রে ভাই- এই বার লইয়া (এবার নিয়ে) চাইর (চার) বার ভুট (ভোট) দিয়া মেয়র ফাস (পাস) করাইলাম, কিন্তু কিচ্ছু ফাইলাম (পেলাম) না। কোনো সময় আওয়ামী লীগের নেতা আবার কোনো সময় বিএনপির নেতারে (নেতাকে) ভোট দিই। কিন্তু ইলেকশন ছইল্লা যাওয়ার (শেষ হওয়ার) পরে কেউ আমরার খতা (কথা) শুনে না; মনে রাখে না। তারপরও বুঝলাম ভোটটা নষ্ট কইরা (করে) লাভ নাই, বিধায় দিতে আইছি (আসছি)।

সোমবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টায় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খাস দবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে বাংলানিউজেরে কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন ডেন্ডু মিয়া নামে এক নির্মাণ শ্রমিক। তিনি সিলেট বন্দর বি-২০ নম্বর এলাকার আব্দুল হোসেনের ছেলে।

ডেন্ডু মিয়া দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের বাবা। স্ত্রীসহ তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। একা একা রোজগার করে সংসার চালান তিনি।

দীর্ঘশ্বাস ফেলে ডেন্ডু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে আমি বিভিন্ন সময়ে সাহায্যের জন্য নির্বাচিত মেয়র এবং কাউন্সিলরদের শরণাপন্ন হলেও কেউ আমাকে পাত্তা দেননি। এমনকি আমার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া রিপা আক্তার এবং ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালানোর ব্যাপারে তাদের কাছে সাহায্যের জন্য গেলে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

ডেন্ডু আক্ষেপ করে বলেন, অনেকবার স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েও কোনো ফল মিলেনি। একপর্যায়ে আমি মেয়রের বাসায় যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে মেয়রের অফিস বা বাসার গেট থেকেই তাড়িয়ে দেওয়া হয় আমাকে।

ভোট দিয়ে কোনো ফল মিলেনি তো কি হলো আমার ভোটের মূল্য আছে। তাই আমি সবসময় ভোট দিই, যোগ করেন ডেন্ডু মিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
টিএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।