ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আবেদন আহ্বান ইসির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৮
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আবেদন আহ্বান ইসির

ঢাকা: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আবেদন আহ্বান করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে দেশি পর্যবেক্ষকদের ২১ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে। আর বিদেশি পর্যবেক্ষকরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই কার্যক্রম সম্পন্ন করবে সংস্থাটি।

দশম সংসদ নির্বাচনে মাত্র চারজন বিদেশি ও স্থানীয় ৩৫টি সংস্থার ৮ হাজার  ৮শ ৭৪ জন পর্যবেক্ষণ করেছিল। সর্বোচ্চ ৬০শ বিদেশি ও দুই লাখ ১৮ হাজার দেশি পর্যবেক্ষক থাকার নজির রয়েছে বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোয়।


 
পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আশাদুল হক এ তথ্য জানান।  

২১ নভেম্বরের মধ্যে স্থানীয়দের আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন সংস্থা কোথায়, কতজন নিয়োজিত করবে তা আবেদনে উল্লেখ করতে হবে।
 
ইতোমধ্যে নীতিমালা মেনে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে সংশ্লিষ্ট ১১৮টি সংস্থাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
 
২০ নভেম্বর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে ব্রিফিং করবেন। সংস্থাগুলোকে বৈঠকে আসার জন্যও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
 
তিনি বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করবে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
 
তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে। এর আগে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন জমার শেষ সময়। ২ ডিসেম্বর বাছাই। আর ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়।
 
নির্বাচন কমিশন থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালে ৫শ ৯৩ জন বিদেশি ও দেশি ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৩ জন, ২০০১ সালে ২শ ২৫ জন বিদেশি ও দেশি ২ লাখ ১৮ হাজার জন, ১৯৯৬ সালে  প্রায় ৪০ হাজার দেশি ও বিদেশি  ২শ ৬৫ জন এবং ১৯৯১ সালে ৩০ হাজার দেশি ও ৫৯ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন।
 
দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে অনুমোদিত কার্ড সরবরাহ প্রক্রিয়াও ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
 
সবশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে ১২টি দল অংশ নেয়। বিএনপির বর্জনের ফলে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা।
 
বাকি ১৪৭ আসনে ভোট হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। সে সময় বেশিরভাগ বিদেশি সংস্থায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসেনি। প্রথমেই না আসার কথা জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এরপর আরো অনেকেই পর্যবেক্ষণ না পাঠানোর কথা জানায় ইসিকে।
 
একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন না আসার কথা জানিয়ে দিয়েছে। তবে সার্কভুক্ত দেশের নির্বাচন কমিশনগুলোর সংগঠন ফেমবোসাকে নির্বাচন পরর্যবেক্ষণে আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৮
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।