ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ডাকা হয়নি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
‘রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ডাকা হয়নি’ সাংবাদিদের সঙ্গে কথা বলছেন ১৪ দল নেতা দিলীপ বড়ুয়া

ঢাকা: রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ব্রিফ করার অভিযোগ কাল্পনিক ও মনগড়া বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। তাদের বক্তব্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দু’একজন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রাক্তন সহকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে যেতে পারেন।

১৪ দলের নেতা ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করে লিখিতভাবে এমন ব্যাখ্যা দেয়।

সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ব্রিফ করার অভিযোগ দেয়।

১৪ দলের চিঠিতে বলা হয়, “সকল রিটার্নিং কর্মকর্তাগণ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক কমিশন কার্যায়ে ব্রিফিংয়ে অংশগ্রহণ শেষে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তলব করার যেমন গড়া ও কাল্পনিক অভিযোগ বিএনপিরর পক্ষ থেকে করা করা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ”

“প্রকৃতপক্ষে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাউকেই ডেকে পাঠানো হয়নি। রিটার্নিংকর্মকর্তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন জেলার প্রশাসক। জেলা প্রশাসকগণ তাদের স্ব স্ব জেলায় সকল মন্ত্রণলয়ের সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কাজেই জেলা প্রশাসকগণ ঢাকায় আসলে দাফতরিক প্রয়োজনে বিভিন্ন কার্যালয়ে যেয়ে থাকেন। কখনও কখনও এ সকল কর্তাগণ তাদের প্রাক্তন সহকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বিভিন্ন কার্যালয়ে যান। এরকম দুয়েকজন কর্মকর্তা প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যেতেই পারেন। তবে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে কোন রিটার্নিং অফিসারকে ডাকা হয়নি এবং কারো সাথে নির্বাচন নিয়ে নিয়ে কোন ধরনের ব্রিফিং করা হয়নি। ” 

“বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ ধরনের মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ১৪ দল। ”

লিখিত আকারে ১৪ দল নির্বাচন কমিশনকে আরো জানায়- “সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করায় বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে ইসিকে। ”

“ঐক্যফ্রন্ট ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়ার কথা বলে ‘সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র’ করছে, যা আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। ঐকফ্যন্ট নেতা কামাল হোসেন ১৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের মতবিনিময়সভায় নির্বাচনী সভা করেছেন। এটা আচরণবিধি লঙ্ঘন। ”

“যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর অর্ধশাতিক ব্যক্তি বিএনপির মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছে। এতে আতঙ্ক ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ইসিকে ব্যবস্থা নিতে হবে। ”

“সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। পর্যবেক্ষকের নামে যাতে অযাচিত পক্ষাবলম্বন না করা হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ”

“বিএনপির পক্ষ থেকে ৯২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘বানোয়াট ও মিথ্যা’ অভিযোগ করা হয়েছে। এটি প্রশাসনকে ‘মানসিকভাবে কোনঠাসা’ করে নিজেদের ‘সুপ্ত এজেন্ডা’ বাস্তাবায়নের একটি ‘অপকৌশল’ মাত্র। এ ধরনের রদবদল হলে প্রশাসনিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়বে। বিএনপির এ দাবির পক্ষে পদক্ষেপ নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই। ”

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়- “ইসি সচিবসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তার শাস্তি দাবিসহ গোটা প্রশাসনে রদবদল দাবি ‘ষড়যন্ত্র’ ছাড়াকিছুই নয়। নির্বাচন ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও বানচালের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য’এসব দাবি উত্থাপন করা হচ্ছে। ”

আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। প্রার্থিতা বাছাই ২ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।