ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ঢাকা-১০

‘ব্যাপক সাড়ায়’ তাপস, অভিযোগ নিয়ে মাঠে মান্নান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
‘ব্যাপক সাড়ায়’ তাপস, অভিযোগ নিয়ে মাঠে মান্নান ‘ব্যাপক সাড়ায়’ তাপস, অভিযোগ নিয়ে মাঠে মান্নান

ঢাকা: তৃতীয়বারের মতো সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এখন রাজধানীর হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, কলাবাগান, ধানমন্ডি এলাকার ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গণসংযোগ-প্রচারণায় বেশ সাড়া পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তাপস। তার মতে, ঢাকা-১০ আসনে মানুষের স্বতস্ফূর্ততা রয়েছে। প্রচারণার পরিবেশও সুষ্ঠু।

অপরদিকে, প্রচারণা চালাতে ‘বাধার মুখে’ রয়েছেন বলে দাবি করছেন এক সময়কার ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান। যিনি এবার ঢাকা-১০ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন শেখ পরিবারের সন্তানের সঙ্গে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ আসন। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে হাজারীবাগ, নিউ মার্কেট, কলাবাগান, ধানমন্ডি এলাকা। মোট ভোটার ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭৫৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫১ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯০৭ জন।

দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনে রয়েছেন এনপিপির কেএম শামসুল আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল আউয়াল, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের বাহারানে সুলতান বাহার এবং জাতীয় পার্টির হেলাল উদ্দিন।  

২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির বর্ষীয়ান আইনজীবী (প্রয়াত) খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমেদকে পরাজিত করে সংসদে এ এলাকার প্রতিনিধি হন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। আর এবার তিনি নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হলেন ঢাকা-১ আসনের সাবেক বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী আবদুল মান্নানের সঙ্গে।

প্রচারণা শুরু হওয়ার পর রাজধানীর কলাবাগানের বিভিন্ন অলি-গলিতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি সাংবাদিকদের বলছেন, ভোটারদের কাছে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। ঢাকা-১০ আসনে মানুষের স্বতস্ফূর্ততা রয়েছে। প্রচারণার পরিবেশও সুষ্ঠু। নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট পড়বে বেশিরভাগ।

সরকার দলীয় প্রার্থী এবং শেখ পরিবারের সন্তান হওয়ায় ভোটার এবং সাধারণ মানুষের একটি বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে তাপসের প্রতি।

হাজারীবাগ এলাকার বাসিন্দা আলিমুল হক বলেন, তাপস ভাই ১০ বছর ধরে এ এলাকার উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। জলাবদ্ধতা নিরসন করেছেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন। গরিব, মেধাবীদের জন্য বৃত্তি চালু করেছেন। শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি ও শহীদ শামসুন্নেসা আরজু মনি স্মৃতি ট্রাস্ট গঠন করেছেন। এ আসনের বিভিন্ন মসজিদের সংস্কার কাজ করা হয়েছে। ধানমন্ডি লেকের উন্নয়ন করা হয়েছে তার উদ্যোগেই।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের সন্তান হওয়ায় তাপসের কাছে এলাকার উন্নয়নে বেশি বরাদ্দ পাওয়াটাই আশা করছেন সাধারণ ভোটাররাও।

তবে বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণার পাশাপাশি রয়েছে অভিযোগও। মান্নান বলছেন, ‘বর্তমানে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে উপরে আল্লাহ আর নিচে গণমাধ্যম ছাড়া আমাদের দেখার কেউ নেই। ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে সরকার বাহিনী কর্তৃক বারবার হামলার শিকার হয়েছি। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সুষ্ঠু সমাধান হয়নি। ’

তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে ৭০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমার নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। তফসিল ঘোষণার পর ৭-৮টি মামলাসহ মোট শতাধিক মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিদিনই বিএনপি জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।

পোস্টার-লিফলেট ছিঁড়ে ফেলা, পোড়ানো, ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলা, মাইক ভাঙচুর, প্রচারণার জন্য ব্যবহৃত মেমোরি কার্ড নিয়ে যাওয়া, পোস্টারের কাজে নিয়োজিত দিন মজুরদের গালিগালাজ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার। তবে এর মধ্যেও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ধানের শীষেই জনরায়ে আশাবাদী মান্নান।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
এমআইএইচ/ইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।