ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ভোটের মাঠে ৮ লাখ ফোর্স, ম্যাজিস্ট্রেট ৪ হাজারের বেশি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
ভোটের মাঠে ৮ লাখ ফোর্স, ম্যাজিস্ট্রেট ৪ হাজারের বেশি নির্বাচন কমিশন ভবন

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮ লাখের মতো ফোর্স মোতায়েন রাখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে রাখা হয়েছে চার হাজার ২১ জন ম্যাজিস্ট্রেট।

ইসি’র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ছক থেকে জানা যায়, ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোটকেন্দ্রে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে ভোটের দিন পুলিশ, অঙ্গীভূত আনসার, ব্যাটালিয়ন আনসার, গ্রাম পুলিশ নিয়ে কেন্দ্র প্রতি গড়ে ১৫ জন করে মোট ৬ লাখ দুই হাজারের মতো বাহিনী থাকছে।

এছাড়া সশ্রস্ত্র বাহিনীর প্রায় এক লাখ ২০ হাজারের মতো ফোর্স মোতায়েন থাকবে ভোটের আগেও পরে ১০ দিন। বিজিবি থাকছে ৪০ হাজারের মতো। এছাড়া র‌্যাব, পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের ভ্রাম্যমাণ টিম এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রায় ৫০ হাজারের মতো সদস্য নিয়োজিত থাকছে।

ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা ভোটগ্রহণের আগে দুই দিন ও পরে দুই দিন মোট পাঁচ দিনের জন্য মাঠে থাকবে। গ্রাম পুলিশ ভোটের আগে পরে চার দিন, অঙ্গীভূত আনসার ছয় দিন র‌্যাব ও আর্মড পুলিশ ২৬ ডিসেম্বর থেকে এবং বিজিবি ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে। আর সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সোমাবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে।

নির্বাচনে নিয়োগ করা হয়েছে চার হাজার ২১ জন ম্যাজিস্ট্রেট। এদের মধ্যে নির্বাচন তদন্ত কমিটিতে ২৪৪জন এবং নির্বাচনী অপরাধে বিচারকাজ পরিচালনায় ৬৪০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্যদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত করা হচ্ছে ৩ হাজার ১৩৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এদের মধ্যে প্রতি আসনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি টিমের সঙ্গে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতি আসনে সশস্ত্র বাহিনীর চারটি টিম মোতায়েন থাকবে। এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় এক হাজার ১০০ ম্যাজিস্ট্রেট তাদের সঙ্গেই থাকবেন। পরিস্থিতির অবনতি হলে তারা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায় কাজ করবে। অবশিষ্ট দুই হাজার ২০০ মতো ম্যাজিস্ট্রেট আচরণ বিধি প্রতিপালনের বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। ৩০ ডিসেম্বর (রোববার) সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরেছে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে ৩০০ কোটি টাকা নির্বাচন পরিচালনার জন্য এবং ৪০০ কোটি টাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনে ব্যয় ধরা হয়েছে।

তবে নির্বাচন কমিশনের বাজেট শাখার কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বরাদ্দে চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি ছাড়িয়ে যাবে। কেননা, এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পেছনে ব্যয় দশম সংসদের তুলনায় বেড়ে যাবে। কারণ গত নির্বাচনে বিভিন্ন বাহিনীর ছয় লাখের মতো ফোর্সে মোতায়েন করা হয়েছিল। যা এবার তা আট লাখে পৌঁছেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
ইইউডি/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।