ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

কুমিল্লায় প্রচারণার মাঠ আ’লীগের, অভিযোগেই ব্যস্ত বিএনপি

ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
কুমিল্লায় প্রচারণার মাঠ আ’লীগের, অভিযোগেই ব্যস্ত বিএনপি মুজিবুল হক, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আ হ ম মুস্তফা কামাল, আবদুল মতিন খসরু ও সুবিদ আলী ভূঁইয়া

কুমিল্লা: কুমিল্লার ১১টি আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় সব দিক থেকে সরব আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। পথসভা, জনসভা, উঠান বৈঠক, নির্বাচনী অফিস স্থাপন, মাইকিং-পোস্টারিংসহ যাবতীয় প্রচারণায় নৌকার জন্য ভোটের আহ্বান দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। 

অপর দিকে প্রচারণায়তো পিছিয়েই, বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের অভিযোগেই ব্যস্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে বেশি। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ ধানের শীষের প্রার্থীদের অফিস করতে দিচ্ছে না।

যাও কিছু করা হয়েছে, তা ভাঙচুর করা হয়েছে। ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে পোস্টার, করতে দেওয়া হচ্ছে না মাইকিং। এমনকি ভোটকেন্দ্রের এজেন্ট, নেতাকর্মীদের গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছেও বলেও অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীদের।  

যদিও এর পাল্টা জবাবে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বিএনপি সবসময় দোষারোপের রাজনীতি করে। তাদের সাংগঠনিক কাঠামো দুর্বল বলেই মাঠে নামতে পারছে না।

তবে ভোটাররা আশা করছেন, এ ক’দিন ধরে বিএনপিকে প্রচারণায় তেমন দেখা না গেলেও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নামায় সবপক্ষকেই সমান সুযোগ ভোগ করতে দেখা যাবে।

কুমিল্লার ১১টি আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্রসহ ৮৪ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন।

কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি ও মেঘনা)
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুবিদ আলী ভূঁইয়া, আর বিএনপির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আসনটিতে নৌকার প্রার্থী সুবিদ আলীর পাশাপাশি বিএনপির প্রার্থী ড. মোশাররফও নির্বাচনী প্রচারণায় সরব রয়েছেন। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।  

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দাউদকান্দি ও মেঘনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিএনপির স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ক্যাডাররা প্রচারে বাধার সৃষ্টি করছে, হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, রাতের অন্ধকারে আমাদের ব্যানার ও পোষ্টার ছিড়ে ফেলছে। বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি অফিস ভাঙচুর করছে। এগুলো গণতান্ত্রিক আচরণ নয়। ’

আর সুবিদ আলী ভূইয়া বলেন, ‘এ সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে। তাই জনগণ নৌকাকে আবার ভোট দেবে। আর খন্দকার মোশাররফ সাহেব মিথ্যে অভিযোগ করছেন। এখানে সবাই সমানভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ’

কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস)
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিমা আহমাদ মেরী। তিনি প্রতিদিন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ আসনেও ধানের শীষের প্রার্থী।

তাকে বেশ নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা গেলেও অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘হোমনায় ১৪৪ ধারা জারি করে আমার দু’টি সভা পণ্ড করে দেওয়া হয়েছে। এখানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা কাল্পনিক অভিযোগে ৪টি মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিতাস উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় ঘরছাড়া এসব নেতা গণসংযোগে অংশগ্রহণ করতে পারছে না।  

আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিমা আহমেদ বলেন, ‘আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আশা করি জনগণের ভোটে আমার বিজয় সুনিশ্চিত হবে। ’

আসনটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আমির হোসেনও প্রচারণায় সরব রয়েছেন।

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর)
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন। বিএনপির প্রার্থী কে এম মজিবুল হক। প্রচারণায় তৎপর রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। অন্তর্কোন্দল ভুলে মাঠে নেমেছেন জেলা (উত্তর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার।  

প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী কে এম মজিবুলও। তিনি বলেন, ‘প্রচারণার প্রথম দিনে মুরাদনগর থানার সামনে আমার গাড়ি বহরে হামলা হয়। পরে উল্টো আমার ভাই (বিদেশ অবস্থানরত) জুন্নুনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনা হয়। আমার নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছু নেই। ’

ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন জানান, ‘এখানে বিগত ১০ বছর ধরে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই তাদের ডাকে জনগণ মাঠে নামছে না। এখানে তাদের কোনো হয়রানি করা হচ্ছে না। এখানে গত ৫ বছর আমরা অনেক উন্নয়ন করেছি। তাই আমাদের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। ’

কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার)
এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। তিনি মাঠে সরব। অপরদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে ধানের শীষ নিয়ে লড়ছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ রব) আবদুল মালেক রতন। এখানে কোনো হয়রানি না থাকলেও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মালেক রতনকে এখনো প্রচারণায় দেখা যায়নি। এ আসনে বিএনপির নেতাকর্মীরাও সক্রিয় নন দলের নেতা মনজুরুল আহসান মুন্সিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি বলে।

আওয়ামী লীগের রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বলেন, ‘নৌকা মার্কার বিজয় হলে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের যে উন্নয়ন করেছেন সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনবে। ’

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া)
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক আইনমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু। বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন অধ্যক্ষ মো. ইউনুস। সম্প্রতি বিএনপির প্রার্থীর কুমিল্লা নগরীর বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুবৃর্ত্তরা বাড়ির সামনে থাকা একটি মাইক্রোবাসও ভাঙচুর করেছে এবং বাড়ির দিকে লক্ষ্য করে ১০-১২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে বলে ইউনুসের অভিযোগ।

ধানের শীষের এ প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্যই আমার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালাতে দিচ্ছে না। ’

আর নৌকার আব্দুল মতিন খসরু বলেন, ‘আমি সুস্থ ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। প্রতিহিংসার রাজনীতি আমি করি না। এ আসনে কোনো হয়রানি হচ্ছে না। ’

কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস এলাকা)
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। আর বিএনপির প্রার্থী হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন। প্রতিদিন অসংখ্য উঠোন বৈঠক, মতবিনিময় সভা করছেন বাহার। তৈরি করেছেন থিম সং ‘কুমিল্লা এগুলে, বাংলাদেশ এগুবে’। মাইকিং, পোস্টারিং, গণসংযোগে চলছে নৌকার প্রচারণা উৎসব।  

অপরদিকে কৌশলী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপি প্রার্থী হাজী ইয়াছিন। তিনি বলেন, ‘আমার দলীয় ও নির্বাচনী কর্মীদের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও পুলিশ হয়রানি চলছেই। বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, প্রচারের মাইক ভাঙচুর, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করছে প্রতিপক্ষ। তাই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করার জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ করছি। ’

আর হাজী বাহার বলেন, ‘আমরা যে পরিমাণ উন্নয়ন করেছি, জনগণ তার সুফল পাচ্ছে। আশা করি জনরায় আমার পক্ষেই আসবে। আমি কুমিল্লাকে সন্ত্রাসমুক্ত করেছি। কুমিল্লাবাসী এখন শান্তিতে বসবাস করছে। ’

কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা)
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আশরাফ, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর দু’গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকটি পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ককটেল বিস্ফোরণ, অফিস ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ দিয়ে আমার নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদের ২০ নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিজেরাই তাদের অফিসে ভাঙচুর করে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আবার উল্টো মামলা দিচ্ছে। প্রতি পদে পদে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। ’

আলী আশরাফ বলেন, ‘এ আসনে শিক্ষার হার উল্লেখ করার মত। শতভাগ বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে চান্দিনাবাসী। তাই আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। ’

কুমিল্লা-৮ (বরুড়া)
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী জাকারিয়া তাহের সুমন। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল। আসনটিতে আরও লড়বেন জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলন। ভোটারদের মতে, মূল লড়াই হতে চলেছে নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল ও জাকারিয়া তাহের সুমনের মধ্যে। এ আসনে নজরুল প্রচারণায় বেশ তৎপর। তেমন তৎপরতা নেই জাকারিয়া তাহের সুমনের।

সুমনের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, এখানে তাদের নির্বাচনী অফিস, নেতাকর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর করা হচ্ছে। গ্রেফতারি হয়রানি চলছে। তাই তারা বেশ আতঙ্কিত। তবে ভোটাররা ভোট দিতে পারলে তারা সহজেই জয়লাভ করবেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জবাব, বিএনপি মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। বরুড়ার উন্নয়নের গতিকে তরান্বিত করতে মানুষ নৌকা প্রতিকে ভোট দেবে।

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ)
এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম। বিএনপির প্রার্থী এম আনোয়ার উল আজিম। এখানে প্রকাশ্যে বিএনপির প্রচারণা বলতে গেলে নেই। অনেকটা গোপনে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। নেতাকর্মীদেরও মাঠে দেখা যাচ্ছে না।

বিএনপির প্রার্থী আজিম বলেন, ‘এখানে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। হামলা-ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের অবাধে গ্রেফতার চলছে। আমরা আতংকিত। আমাকে বাড়ির বাইরে বের হতে দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। আমি গত এক সপ্তাহ ধরে নিজ ঘরে অবরুদ্ধ ছিলাম। শনিবার ঢাকায় চলে এসেছি। নির্বাচনের পরিবেশ ফিরে আসলে এলাকায় যাবো। ’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলাকে শহরে রূপান্তরিত করা হবে। এ আসনে অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছি। শত শত ব্রিজ-কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসায় উন্নয়ন করেছি। ইনশাআল্লাহ আগামীতে এমপি হলে আমার এলাকায় অসমাপ্ত সব উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা হবে।

কুমিল্লা -১০ (সদর দক্ষিণ-লালমাই ও নাঙ্গলকোট)
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিকল্পনামন্ত্রী আ ফ ম মুস্তফা কামাল। বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী। মনিরুল হক চৌধুরীর পাশাপাশি বিএনপির প্রভাবশালী দুই নেতা আব্দুল গফুর ভূইয়া ও মোবাশ্বের আলমও কারাগারে রয়েছেন। ফলে বিএনপি রয়েছে নেতৃত্ব সংকটে। এ আসনে মনিরুল হক চৌধুরীর মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করছেন।  

চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস বলেন, ‘যারা আমার সঙ্গে গণসংযোগে যায়, রাতেই তাদের ওপর হামলা হয়। আমার বাবার সঙ্গেও কোনো নেতাকর্মী দেখা করতে পারছেন না। সবার বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অবাধে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটা কেমন গণতন্ত্র? কার কাছে চাইবো বিচার?’

মুস্তফা কামাল জানান, ‘মনিরুল হক চৌধুরী আমাকে, আমার পরিবারের সদস্যসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য ভুয়া মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। এবার জনগণ তার প্রতিদান দেবে। এবারো আমাদের বিজয় হবে। ’

কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম)
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব। ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সমর্থিতরা মাঠে নেই। বলতে গেলে প্রচারণায়ও তাদের দেখা যায়নি।

সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘হামলা-গ্রেফতার আতঙ্কে আমার নেতাকর্মীরা এলাকাছাড়া। কোনো নির্বাচনী অফিস করতে পারিনি। কোনো পোস্টার লাগানো যায়নি। আমার নির্বাচনী এজেন্টদের অবাধে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করা হচ্ছে। এখানে এক ভাগও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। ’

মুজিবুল হক মুজিব বলেন, ‘চৌদ্দগ্রামবাসী জামায়াত-শিবিরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। চৌদ্দগ্রামের জনগণ আর অগ্নিসন্ত্রাসীদের ভোট দেবে না। আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে জামায়াত-শিবির। হামলা-মামলা দিয়ে বাড়িঘরে থাকতে দেয়নি আমাদের। স্বাধীনতাবিরোধীদের চৌদ্দগ্রামবাসী আর চায় না। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।