ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

সহিংসতা-নাশকতা কঠোর হাতে মোকাবেলার নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
সহিংসতা-নাশকতা কঠোর হাতে মোকাবেলার নির্দেশ

ঢাকা: আগামী রোববার (৩০ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে কোনো ধরনের সহিংসতা বা নাশকতামূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা কঠোর হাতে মোকাবেলা করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।

ভোটগ্রহণের আগের দিন শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরে ভোটার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেন তিনি।

সিইসি গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, অনেক প্রার্থীর এজেন্টকে হয়রানি করা হচ্ছে।

কিন্তু এজেন্টদের হয়রানি কাম্য নয়। ফৌজদারি অভিযোগ না থাকলে পুলিশ কাউকে হয়রানি করবে না। পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে। কারণ এজেন্টরা প্রার্থীর প্রতিনিধি। তারা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।  
তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী যেন ন্যায় অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, নির্বাচনী আচরণবিধি যেন না লঙ্ঘন না হয় এবং প্রতিযোগিতা যেন সহিংসতায় পরিণত না হয়। তবু নির্বাচনে সহিংসতা হয়েছে, জানমালের ক্ষতি হয়েছে, এগুলো কাম্য ছিল না। নিরপেক্ষ তদন্ত করে সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি।

ভোটার, প্রার্থী ও সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে কেএম নুরুল হুদা বলেন, আপনারা আচরণবিধি মেনে চলুন, সহিংসতা পরিহার করুন। প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়তা করুন। প্রলোভন, প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে সিইসি বলেন, সহিংসতা বা নাশকতামূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে কঠোর হাতে মোকাবেলার নির্দেশ দিচ্ছি। অবশ্যই বাহিনী তা নিয়ন্ত্রণ করবে। নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে সহিংসতা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করে কেএম নুরুল হুদা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। তারা প্রচার কাজে মুখর। মিছিল, জনসভা, লংমার্চ, লিফলেট, পোস্টার, ঘরে ঘরে গমনের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক আবহওয়া সৃষ্টি হয়েছে। উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
 
এবার ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ ভোটার ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্রের ২ লাখ ৬ হাজার ৭৬৭টি ভোটকক্ষে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। ইতোমধ্যে সমগ্র নির্বাচনী উপকরণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। রাতের মধ্যে উপকরণ প্রতি কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। ইভিএমের কেন্দ্রেও সামগ্রী পৌঁছে গেছে।

ভোটকেন্দ্র, সামগ্রী, এজেন্টদের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটরা কর্মরত আছেন। কেন্দ্রের অবস্থান সবার ওপরে। কেননা, কেন্দ্রের সাফল্যের ওপর ভর করে গোটা নির্বাচনের সাফল্য।

সিইসি বলেন, কর্মকর্তা, পর্যবেক্ষক , সাংবাদিক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবাই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। রিটার্নিং অফিসার ৭টার মধ্যে পরিচালনার কাজ শুরু করবেন। তিনি ব্যালট বাক্স খুলে সবার উপস্থিতিতে সবাইকে ব্যালট বাক্স খালি কি-না দেখাবেন। এরপর ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু করবেন। ভোটগ্রহণ শেষ হলে এজেন্ট, সাংবাদিকদের সামনে ভোট গণনার কাজ শুরু করবেন। কেন্দ্রের বাইরে যাওয়া যাবে না। ফলাফলের তালিকা এজেন্টদের সরবরাহ করতে হবে। কেউ অবৈধভাবে ভোটকক্ষ ত্যাগ করতে বললে ম্যাজিস্ট্রেট বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে।

গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভোটগ্রহণের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়, এমন কাজ থেকে বিরত থাকবতে হবে। আপনারা আপনাদের পবিত্র দায়িত্ব পালন করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
ইইউডি/এইচএ/

** নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে বাহিনীগুলোকে সিইসির নির্দেশ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।