রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। এরপর গণনা শেষে রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর মধ্যে নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে মানু মজুমদার ও নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে অসীম কুমার উকিল প্রথম বারের মতো ভোটে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।
এ ছাড়া বাকি তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুরী) আসনের রেবেকা মোমিন ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল।
আশরাফ আলী খান খসরু নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনার-২ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। অপরদিকে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটে জয়ী হয়ে ৪ ও ৫ আসন দু’টিতে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন রেবেকা এবং বেলাল।
নেত্রকোনা-১ আসনে ১০৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। আসনটিতে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মানু মজুমদার নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৭৩৮ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ১৬ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়েছেন।
নেত্রকোনা-২ আসনে ১৫৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান খসরু ২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়েছেন। ধানের শীষের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ারুল হক ৩০ হাজার ৫৭৩ ভোট পেয়েছেন। তবে তিনি ভোট চলাকালে বিকেলে ভোট অর্জন করেন।
নেত্রকোনা-৩ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ১৪৪ কেন্দ্রে। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ২ লাখ ৭০ হাজার ৭০ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২৮টি।
নেত্রকোনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন রেবেকা মমিন ও বিএনপি থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী। আসনটির ১৩৭ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। রেবেকা পেয়েছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৭৯৫ ভোট ও তাহমিনা পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬০১ ভোট।
সর্বশেষ তথা নেত্রকোনা-৫ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬২ ভোট। বিপরীতে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের তালুকদার পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৮২ ভোট।
প্রসঙ্গত, পাঁচটি আসনে মোট ১৬ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ৮ লাখ ৮ হাজার ৩৮৮ জন ও নারী ভোটার ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৩ জন।
আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২৬ জন প্রার্থী। নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে ৫ জন, নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে ৬ জন, নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে ৬ জন, নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুরী) আসনে ৪ জন ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে ৫ জন প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
এসআই