ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

একাদশ সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
একাদশ সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রতীকী ছবি

ঢাকা: নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। সদ্য অতীত হতে যাওয়া দশম সংসদেও সরাসরি ভোটে ২২ জন নারী সদস্য নির্বাচিত হন। এবার সংখ্যায় একই অবস্থানে রয়েছে তবে এসেছে নতুন মুখ। দশম সংসদে প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধীদলীয় নেতা নারী, মন্ত্রিপরিষদে একাধিক সদস্য নারী ছিলেন।

সদ্য শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের পর দেখা যায় এবারও ২২ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। দলভিত্তিক হিসাব ধরলে আওয়ামী লীগে ১৯ জন, জাতীয় পার্টির দু’জন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের (ইনু) একজন।


 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে নারীরা বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন সরকারেও হয়তো বেশ কয়েকজন নারী মন্ত্রীর মুখ দেখা যাবে। সেজন্য অবশ্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
 
স্বাধীনতার পর শুধু প্রথম সংসদেই কোনো নারী সদস্য নির্বাহিত হননি, অবশ্য তখন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এরপর প্রত্যেক সংসদেই কম-বেশি নারী সদস্য সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। স্বাধীনতার পর প্রথম সংসদ নির্বাচন অর্থাৎ, ১৯৭৩ সালে কোনো নারী সদস্য সরাসরি নির্বাচিত হতে পারেননি কারণ তখন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তবে সংরক্ষিত আসনে নারী সদস্য ছিলেন ১৫ জন।

দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৭৯ সালে দু’জন নারী সদস্য সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। তারা হলেন খুলনা-১৪ আসন থেকে সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ ও টাঙ্গাইল-১ আসন থেকে আশিফা আকবর। এরপর তৃতীয় সংসদে (১৯৮৬) ৫ জন, চতুর্থ সংসদে (১৯৮৮) ৪ জন, পঞ্চম সংসদে (১৯৯১) ৬ জন, ষষ্ঠ সংসদে (২০০৮) ৩ জন, সপ্তম সংসদ (১৯৯৬) ৮ জন, অষ্টম সংসদ (২০০১) ৭ জন, নবম সংসদে (২০০৮) ২১ জন এবং দশম সংসদ (২০১৮) ২২ জন। সবশেষ একাদশ সংসদ (২০১৮) ২২ জন।
 
একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নারী সদস্য হিসেবে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে। এছাড়া স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী (রংপুর-৬), সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (ফরিদপুর-২), বেগম মতিয়া চৌধুরী (শেরপুর-২), ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (ঢাকা-১৮), বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা-৩), ইসমাত আরা সাদেক (যশোর-৬), মমতাজ বেগম (মনিকগঞ্জ-২), হাবিবুন নাহার (বাগেরহাট-৩), রেবেকা মোমিন (নেত্রকোনা-৪), মাহবুব আরা গিনি (গাইবান্ধা-২), আয়েশা ফেরদৌস (নোয়াখালী-৬), জয়া সেনগুপ্ত (সুনামগঞ্জ-২), মেহের আফরোজ চুমকী (গাজীপুর-৫), সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (মুন্সিগঞ্জ-২), নতুন মুখ সেলিমা আহমেদ (কুমিল্লা-২) ও শাহিনা আক্তার (কক্সবাজার-৪)।  
 
জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন দশম সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ (ময়মনসিংহ-৪) এবং নাসরিন জাহান রত্না (বরিশাল-৬)। এছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু) থেকে একমাত্র প্রার্থী শিরিন আখতার (ফেনী-১) আসন থেকে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।
 
জাতীয় সংসদের ৩০০ আসন ধরে হিসাব করলে ২২ জন অর্থাৎ ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ দাঁড়ায়। যদিও দু’টি আসন স্থগিত হওয়ায় এখন পর্যন্ত ২৯৮ আসনের ফলাফলের তথ্য ধরা হয়েছে। বাকি দুই আসনে নারী প্রার্থীও নেই। তবে সংসদ গঠন হওয়ার পর সংরক্ষিত আসনে ৩০ নারী সদস্য নির্বাচিত হবেন দলগুলোর আসন হারে। সেখানেও আওয়ামী লীগের জয়জয়কার থাকবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।