ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ফুরফুরে নির্বাচন কমিশন, চলছে পিঠা উৎসব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৯
ফুরফুরে নির্বাচন কমিশন, চলছে পিঠা উৎসব ইসিতে পিঠা উৎসব

ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে নির্বাচন কমিশন ও কর্মকর্তারা। এ নির্বাচনকে একটি ‘বিশাল অর্জন’ মনে করে তাই পিঠা উৎসবে মেতে উঠেছে পুরো কমিশন। বাইরে কড়া নিরাপত্তা রেখে ভেতরে উৎসবে মেতে উঠেছেন সবাই।

বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) সকাল থেকেই নির্বাচন ভবনের নিচ তলার পশ্চিম অংশের ফোয়ারার পাশের ফাঁকা করিডোরে এ আয়োজন শুরু হয়। এতে হরেক রকমের পিঠা তৈরির কারিগর আনা আছে।

আছে কাবার তৈরির কারিগরও। বানানো হচ্ছে ভাপা, পুলি পিঠা। সঙ্গে তৈরি হচ্ছে জিলাপিও। ব্যবস্থা করা হয়েছে পান সুপারিরও।
 
একটি বিরোধী নির্বাচনী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যখন নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে এবং একই সঙ্গে তাদের নির্বাচিত প্রার্থীরা শপথ না নিয়ে আন্দোলনের দিকে যাচ্ছে তখন এ আয়োজনে মশগুল নির্বাচন কমিশন।
 
ইতিমধ্যে জাতীয় এক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নির্দলয়ী সরকারের অধীন পুনরায় নির্বাচনের জন্য স্মারকলিপি দিয়ে গেছে।
 
নির্বাচন ভবনের আশেপাশের এলাকাতে গত দু’দিনের তুলনায় একটু বেশিই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পশ্চিম আগারগাঁওয়ের এ ভবনের আশেপাশের সবগুলো প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেবল আইডিবির সামনের রাস্তা খোলা রাখা হয়েছে। অন্তত পাঁচটি নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। সেনা সদস্যদের পাশপাশি রয়েছে বিজিবির সদস্যরাও।

পিঠা উৎসবে সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ নির্বাচন কমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নিয়েছেন।
পিঠা উৎসব শেষে মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় ইসি সচিব হেলালুদ্দীনহেলালুদ্দীন আহমদ তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, এ নির্বাচন একটি মাইলফলক। এখানে প্রথমবারের মতো সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। সবার প্রচেষ্টায় একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন শেষ হয়েছে। এটি জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা উল্লেখ করে সফলভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ দেন তিনি।
 
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯৯ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা-৩ আসনের একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় সে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ২৭ জানুয়ারি। আর ব্রাহ্মবাড়িয়া-২ আসনের ৩টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় সেখানে ৯ জানুয়ারি পুনঃভোটের পর আসনটি ফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
 
অবশিষ্ট ২৯৮ আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৫৭টি আসন, জাতীয় পার্টি ২২টি আসন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২টি আসন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি আসন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ২টি আসন পেয়েছে, জাতীয় পার্টি-জেপি ১টি আসন ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ১টি আসন পেয়েছে।
 
বিএনপি ৫টি আসন, গণফোরাম ২টি আসন পেয়েছেন। আর স্বতন্ত্র থেকে ৩ জন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
 
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসির নিবন্ধনে থাকা ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সবগুলো দলই অংশগ্রহণ করছে। ৩০ তারিখে অনুষ্ঠিত ২৯৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৬১জন। এরমধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৩৩জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ১২৮ প্রার্থী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।