রোববার (৬ জানুয়ারি) নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটির বাজেট শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয় এ নির্দেশনা।
এতে বলা হয়েছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিজনিত কারণে অথবা দায়িত্বকালী সময়ে যদি কোনো ভোটগ্রহণে দায়িত্ব নিয়োজিত কর্মকর্তা বা কর্মচারী আহত বা নিহত হয়ে থাকেন, ওই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী বা কর্মকর্তাদের অনুদান বা সহায়তা দেওয়া লক্ষ্যে তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে ইসির জনসংযোগ শাখার যুগ্ম-সচিব এসএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে সিলেটের এক প্রিজাইডিং কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া তেমন কোনো হতাহতের ঘটনা নেই।
নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের সময় নিহত পরিববারকে সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নজির রয়েছে। এছাড়া আহত হলে চিকিৎসা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের আর্থিক সহায়তা দেয় নির্বাচন কমিশন।
২০১৭ সালের ২৩ মে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে ভোট শেষে কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা ব্যারিকেড দেয় প্রার্থীরা। তখন দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের হাত থেকে বাঁচাতে পুলিশ গুলিও করেন। এসময়ে পুলিশ পরিদর্শক মো. মোসলেম উদ্দিন স্ট্রোক করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরে ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল নিহত এসআই’র স্ত্রী ও কন্যার হাতে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ লোকবল কাজ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
ইইউডি/জিপি