ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সংসদ সদস্যদের অনেকে বিধি লঙ্ঘন করায় ‘বিব্রত’ ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০১ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৯
সংসদ সদস্যদের অনেকে বিধি লঙ্ঘন করায় ‘বিব্রত’ ইসি

ঢাকা: আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সংসদ সদস্যরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না। কিন্তু অনেকেই আইনের এ বিধানটি মানছেন না।

অনেকেই সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। ফলে অন্যরাও আচরণবিধি মানছেন না।

কর্মকর্তারা বলছেন, সংসদ সদস্যরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থাও নিতে পারছেন না। ফলে তারা আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ কমিশনে ফরওয়ার্ড করছেন।

নির্বাচন কমিশন সেই সব অভিযোগ আমলে নিয়ে এরইমধ্যে তিন সংসদ সদস্যকে এলাকা ছাড়তে নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে ইসি কর্মকর্তারা বলেন, আরো বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এলাকায় অবস্থান করে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পেয়েছে ইসি। তিনজনকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দিলেও অন্যরা সচেতন হচ্ছেন না।

নির্বাচন খুব সন্নিকটে চলে আসায় এ নিয়ে পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কাও করছেন ইসি কর্মকর্তারা।  

আগামী ১০ মার্চ থেকে উপজেলা নির্বাচন শুরু হবে। এদিন ৮৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার পাঁচ ধাপে ৪৯২টি উপজেলার ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় ধাপে ১২৯ উপজেলায় ১৮ মার্চ ও তৃতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ ১২৭ উপজেলায় ২৪ মার্চ। আর চতুর্থ ধাপে ১২২ উপজেলায় ভোট হবে ৩১ মার্চ। পঞ্চম ধাপের তফসিল এখনো ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরইমধ্যে নাটোর-৪ আসনের এমপি আব্দুল কুদ্দুস ও নেত্রকোণা-৫ আসনের এমপি ওয়ারেসাত হোসেন বেলালকে গত বৃহস্পতিবার এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দেয় ইসি। তার আগে গত বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীকে একই কারণে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসি। সে নির্দেশনাও যথাযথভাবে মানা হয়নি বলেও জানান দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদে সবগুলো দল অংশগ্রহণ করার পরও তেমন কোনো সহিংসতা হয়নি। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনে অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতারা বিভক্ত হয়ে নিজেরাই না আবার সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। তাই পরিস্থিতির অবনতি না ঘটার জন্য আচরণবিধির প্রতিপালন নিশ্চিত করা জরুরি।

এ বিষয়ে ইসির দায়িত্বশীল যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, এরইমধ্যে কয়েকজন এমপিকে সতকর্তামূলক নির্দেশনা দিয়েছেন কমিশন। আরও বেশ কিছু এমপির বিরুদ্ধে একই ধরণের অভিযোগ কমিশনে এসেছে। এগুলো বিব্রতকর।

ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে সংসদ সদস্যরা যেন উপজেলা নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন না করেন। সবার সহযোগিতা নিয়েই আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।