ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

১০ উপজেলায় ইভিএমে ভোট, ১৬-২১ মার্চ প্রদর্শনী

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৯
১০ উপজেলায় ইভিএমে ভোট, ১৬-২১ মার্চ প্রদর্শনী

ঢাকা: আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ১০টি উপজেলায় সম্পূর্ণভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য ছয়  দিনব্যাপী সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোটারদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শেখাবে সংস্থাটি।

ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে- আগামী ২৪ মার্চ অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটে রংপুর সদর, গোপালগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ সদর ও মেহেরপুর সদর এবং ৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় চতুর্থ ধাপের ভোটে কক্সবাজার সদর, পটুয়াখালী সদর, ময়মনসিংহ সদর, বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর ও ফেনী সদরে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও জনসাধারণকে নতুন এই ভোটিং ব্যবস্থা প্রদর্শন/ভোটার এডুকেশন বা জনসচেতনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইভিএম কাস্টমাইজেশনসহ নির্বাচন উপযোগী করে যথাসময়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একজন এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের একজন করে কর্মকর্তা ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেবেন।

তার আগে ভোটারদের মধ্যে সচতেনতা সৃষ্টির জন্য ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য বলা হয়েছে নির্দেশনায়। একই সঙ্গে ভোটারদের ভোটদান পদ্ধতি শেখাতে ভোটকেন্দ্রের আওতাধীন সুবিধাজনক স্থানে ১৬ থেকে ২১ মার্চ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

ইভিএমে ভোটগ্রহণের জন্য প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষকদের। যাদের দু’দিনের নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রেখেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন বর্তমানে উন্নতমানের ইভিএম দিয়ে ভোটগ্রহণ করছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ছয়টি আসনের পুরোটাই এসব ইভিএমে ভোটগ্রহণ করেছে। যদিও ফলাফল যত দ্রুততার সঙ্গে প্রকাশ করার কথা জানিয়েছিল, তত দ্রুত প্রকাশ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তবে মেশিনগুলোতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়েই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা গেছে।

দেশে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোটগ্রহণের প্রথা চালু করে এটিএম শামসুল হুদার কমিশন ২০১০ সালে। সেই ভোটযন্ত্র তৈরি করে দিয়েছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। গড়ে ২০ হাজার টাকার সেই ইভিএম ২০১৩ সালে রাজশাহীর সিটি নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সময় বিকল হয়ে যায়। সেটা আর ঠিক করা সম্ভব না হলে পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন আবার ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করে। সেই থেকে ওই ইভিএম আর ব্যবহার করা হয়নি।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের বিগত কমিশন সেই মেশিন নষ্ট করে নতুন করে উন্নতমানের মেশিন তৈরির উদ্যোগ নেয়। বর্তমান নূরুল হুদা কমিশন প্রতি মেশিন দুই লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে উন্নতমানের ইভিএম তৈরি করে নিচ্ছে।

এই উন্নতমানে ইভিএম দিয়ে রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, বরিশাল সিটি নির্বাচনে বেশ সাড়া পায় নির্বাচন কমিশন। তারপরই সংসদ নির্বাচনেও সেটি ব্যবহার করে ইসি।

পঞ্চম উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, সব সদর উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এরপর বলা হয়েছিল তৃতীয় ধাপ থেকে পরবর্তী ধাপের ভোটে সদর উপজেলাগুলোয় ব্যবহার করা হবে ইভিএম। এরপর তৃতীয় ধাপে সাতটি উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে না পারায় সীমিত সংখ্যক উপজেলার ভোটে ব্যবহার করা হচ্ছে এই ভোটযন্ত্র।

এবার পাঁচ ধাপে উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১১ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।